পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভ নিজেই বলেছিল, আর বলিস কেন। পিছন দিকের একটা ঘরের মধ্যে একটা মন্দির করা হয়েছে। মা কিছুতেই ছাড়বে না। সকাল-সন্ধ্যায় পূজা-আরতি হয়। আজ বাবা বোধ হয় বলে দিয়েছেন বিকাল থেকে লোকজন ব, ওসব চলবে না। করলেও চুপচাপ নিঃশব্দে করতে হবে। 'মা তাই মাহীকে দিয়ে তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা-পূজাটা সেরে রাখছে। , ? ? দুপুরে সন্ধ্যা-পূজা ? ? ? ?

উপায় কি ? তবু নিয়মটা রক্ষা হল। *\নন্দ গভীর মুখে বলে, এনে বোধ হয় ভালই করেছিস আমায়। তোকে যে এতখানি মানিয়ে চলতে হয় সয়ে যেতে হয় খেয়াল হত না ; আমি জেনে । রাখতাম। এসব তুই ডোন্ট কেয়ার করে উড়িয়ে দিস !

তাই কখনাে হয় ? ধৰ্ম-কৰ্ম নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না-যারা মাথা ঘামায় তাদের জিজ্ঞাসা করতে যাই না। এসব কি দরকার। কিন্তু অতিথিরা কি মনে করবেন বলে বাগানের মালীকে দিয়ে দুপুর বেলা সন্ধ্যাপূজা সেরে রাখাএটা কি মারাত্মক অবস্থা ভাব তো ? "নন্দর মনে পড়ে ছেলেবেলা স্কুলে একসঙ্গে পড়বার সময় মাঝে মাঝে শুভ তাকে জোর করে বাড়িতে টেনে নিয়ে যেত। শহরের বাড়িতে শ্রীতিভোজের উৎসবেও টেনে এনেছে। শুভ আজও জানে না বন্ধুত্বের নামে কি নির্যাতন কি অত্যাচারটাই সে করত কামারের ছেলেকে শুধু এক ক্লাশে পড়ে বলেই ঝোকের মাথায় বন্ধু হিসাবে বাড়ি নিয়ে গিয়ে । অল্প বয়স। কিন্তু সে টের পেত। দরোয়ান থেকে জগদীশ পর্যন্ত প্রকাণ্ড জমকালো বাড়িটার সকলেই তাকে অস্বীকার করছে। শুভ যেন একটা মাটির পুতুল কিনে এনেছে, ছেলেমানুষী খেয়ালে রান্তা থেকে একটা ফেলনা ইট-পাথর কুড়িয়ে এনেছে। একমাত্র সাবিত্রীই তাকে খাতির করত। আদর করত। সে খাতির আর আদর ছিল তাকে লুচি পরোটা সন্দেশ রসগোল্লা ঠেসে ঠেসে খাওয়ানোতে। ” SSV