পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্ভট ঠেকছিল গঙ্গার কাছে। চীনা মাটির কাপে চুমুক দিতে দিতে শুভ বার। বার তার হাতের কলাই-করা গেলাসটার দিকে তাকাচ্ছে দেখে গঙ্গার প্রায় হাসি পেয়ে যায়। কী চিন্তাক্লিষ্ট গুরুগম্ভীর এই অবিবাহিত ছেলেমানুটী ! জমিদারের ছেলে বলে কি ? স্বামীর ঘরে থাকার সময় প্রায় এই-বয়সী। আরেকজন জমিদারের ছেলেকে সে কয়েকবার দেখেছে, বাইরে রাত কাটাবার জন্য তার স্বামীকে যার দরকার হত। সে ছিল হালকা হাসিখুশিতে উচ্ছল তামাস-প্রিয় আর সাপের মত বজাত। তার হাত ধরে টানার কথা বোকামি করে স্বামীকে বলে দিয়েছিল বলে স্বামীকে দিয়েই কত লাথি যে সে বজাতটা তাকে খাইয়েছিল প্রতিশোধ নিতে ! তার সামনেই অমৃত জিজ্ঞাসা করেছিল, তুমি নাকি কাল ওর হাত ধরে টেনেছ ? সৌমেন অমান বদনে হেসে বলেছিল, বৌদির সঙ্গে তামাসা করছিলাম। রাগ করেছ নাকি বৌদি ? অমৃত মন্তব্য করেছিল, মেয়েমানুষের মন তো নয়, আস্তাকুঁড়। সৌমেন চলে যাওয়া মাত্র অমৃত একটা লাথি মেরেছিল তাকে । শুভ সৌমেনের মত নয়। ওর মুখ দেখলে কন্যাদায়গ্রস্ত বিপন্ন বুড়োর কথা মনে পড়ে যায়। bሥ অ্যাটম বোমার যুগে একটা বাসনের কারখানা কি আর এমন ব্যাপার ছিল ? তৰু চারিদিকে হৈ চৈ সমারোহ না হওয়ায় শুভ মনে মনে ক্ষুন্ন হয়। এ পর্যন্ত ধারে কাছে যা ছিল না সে তাই করেছে। লোকের কি কৌতুহলও জাগে না ? স্টেশনের কাছটা বেশ একটু সরগরম হয়েছে। নতুন কয়েকটা চালা ঘর উঠেছে কারিগরদের থাকার জন্য। এতদিন টিং টিং করছিল গজেন আয় SW