সনাক্তানের পানবিড়ি-চিড়ে ঘুড়ি-তেলেভাজার দোকান, দেখতে দেখতে আরও তিনটি দোকান গজিয়েছে। , ছোট মুদীর দোকানটি দিয়েছে। এ অঞ্চলের চেনা লোক গিরীন, তার মুদীখানার একপাশে কিছু তরিতরকারিও রাখা হয় বিক্রির জন্য। অন্য দুটি দোকানই পানবিড়ি ও খাবারের-এবং দোকান দুটি দিয়েছে পাকিস্তান থেকে সপরিবারে উৎখাত হয়ে আসা দুটি মানুষ। যেন ও পেতে ছিল, শুভর কারখানায় কাজ শুরু হতে না হতে কোথা থেকে উড়ে এসে গজেন আর সনাতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রোজগারে ভাগ বসাতে দোকান খুলে বসেছে! সনাতন ঝাঝের সঙ্গে বলে, কোথা ছিলে বাবুর। অ্যাদ্দিন ? টিকিট তো দেখতে পাই নি ? যাও না, নিজের দেশে ফিরে যাও না, হোটেল খুলে বোসে। of its নিমাইও ঝাঝের সঙ্গে বলে, যেখানে খুশি দোকান দিমু, তোমার কি ? পিথিমিটা কিনা রাখছি ? সুরমার তবু তিন-চার মাস বিলম্ব আছে, নিমাই-এর বৌ সুখদাকে দেখলেই বোঝা যায় তার দিন ঘনিয়ে এসেছে। সনাতনের যতই গা জালা করুক, দুদিন আড় চোখে সুখদার উচু পেটটা নজর করে করে সুরমা নিজেই গিয়ে ভােব না। করে থাকতে পারে না। একেবারে একলাটি ? বাপের কুলে শ্বশুরকুলে কেউ নেই। এসময় কাছে থাকে ? আছে না ? দ্যাশে আছে, কইলকাতায় আছে, যমের ঘরে আছে । কে কারে দ্যাখে কও ? তবু এ সময়টাকিয়ের সময়, কিয়ের অসময় ! নির্ভয় নিশ্চিন্তু ভাব ! মনের মধ্যে একটু হু হু করে সুরমার। বিয়ে-করা স্বামীর কাছে আছে তাই কি এতটুকু ভয়-ভাবনা নেই ? তার ষে এখন থেকেই মাঝে মাঝে ভয়ে ভাবনায় মনটা খিচে যায়। তার কারণ কি তবে এই যে সনাতন S (8
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।