পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন বলে, তুমি নারাণ কর্মকারের ছেলে না ? চাখে তো বাবা হাড়টাড় ভেঙেছে নাকি। পাশ করে গায়েই বসেছি ? পাশ করিনি। বিয়াল্লিশে জেলে গেলাম, এদিকে বাবা মারা গেলেন । পাশ कब्र। इन मां । বোঝা যায় সে পাশ করা ডাক্তার নয় বলে জীবন বেশ ক্ষুন্ন হয়েছে। গোঁয়ে ডাক্তার নন্দ তার পা টিপে-টুপে টেনে-টুনে পরীক্ষা করে, জীবন মাঝে মাঝে কাতরায়। বেশ ফুলেছে যায়গাটা । এতক্ষণ সে যে একবারও কাতরায়নি। এটা খেয়াল করে সকলে মনে মনে তার সহাশক্তির প্রশংসা করে। হাড় বোধ হয় ভাঙেনি । বোধ হয় ভাঙেনি ? জীবন প্রায় ধমকে ওঠে, বোধ হয় কি রকম ? ঠিক করে বলা ! পায়ের গোড়ালি থেকে টর্চের আলোটা একবার তার মুখে ফেলে ধীর গলায় নন্দ বলে, গোঁয়ে ডাক্তার, এর বেশী তো বলতে পারব না । বড় হাড় ভাঙেনি, এইটুকু জোর করে বলতে পারি। ছোট হাড় ভেঙেছে কি না এক্সরে। না করে স্পেশালিস্টও বলতে পারবে মনে হয় না । জীবন লজ্জিত হয়ে বলে, কিছু মনে করো না বাবা, তুমি আমার ছেলের মত। মন মেজাজ ঠিক থাকে না আজকাল। বড় ছেলেটা মারা গেল, কী-বছর কি দিয়ে কি করি, কোন দিক সামলাই— জীবন একটা নিশ্বাস ফেলে। সকলে চুপ করে শোনে। বুড়ে বয়সে কত সক্স বল ? দেশের ঘর আর জমিটুকু জগদীশ কিনে নেবে লিখল-ত লিখল একেবারে শেষমূহুর্তে। কালকেই নাকি কোথায় চলে যাবে। বিবেচনাটা দুষ্ঠাখে একবার ! কেন রে বাবা, দু-দিন আগে জানাতে তোর হুয়েছিল কি ? রাতের বেলা এসে নইলে আমার এ দশা হয়! জগদীগের বাবা জীবনের বিশেষ অনুগত বন্ধু ছিল। সেই কথা উল্লেখ করে জীয়ন ক্ষয়ঙ্কর স্বলে, বুঝেছি, তামাসা জুড়েছে সবাই। ইংরেজকে তাড়িয়েছি, মজার খাতিয়ে কিসের গ্রু Y9