ক্ষমার উদ্দেশ্য নিয়ে এগোবার জন্য সক্রিয় হবে।--কিন্তু আশায় স্বস্তি পায় না। কৈলাস! গাদা আর কৈলাসের মানসিক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে অবশ্য তুলনা চলে না। গভীর জ্বালা আর আপসোসের সঙ্গে লক্ষ্মী ভাবে, তার যদি যথেষ্ট বিদ্যাবুদ্ধি “থাকত! একটা দেশের মানুষ কেন আর কিসে এরকম অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার স্তরে এসে ঠেকে থাকে কিছুদিনের জন্য, আবার এগিয়ে যায়, এসব বুঝিয়ে দিয়ে “সে যদি শান্তি এনে দিতে পারত কৈলাসের মনে ! কৈলাসও রাতটা ছটফট করে কাটায় ! নিজের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যে থিয়োরি সে দাড় করিয়েছে তার মধ্যে সে কোন ভুল খুজে পায় না। অথচ তার সহজ বাস্তববোধ তাকে পীড়ন করে। কেবলি মনে হয়, কোথায় যেন একটা মস্ত গলদ থেকে যাচ্ছে ! ধর্ম নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। লোকে তাকে হিন্দু বলেই জানুক আর মুসলমান বলেই জালুক, নিজেকে সে নিছক মানুষ বলেই জানবে। ভালো কথা। কিন্তু সেটা যেন এ ব্যাপারের আসল কথা নয় । আত্মীয়বন্ধু দেশগ ছেড়ে লক্ষ্মীর সাথে নতুনভাবে জীবন আরম্ভ করলে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করার সৈনিক হিসাবে তাকে বরখাস্ত হতে হবে না। শুধু তার সংকীর্ণ এলাকাটুকুতে সে লড়াই সীমাবদ্ধ নয়। কিন্তু এই বিশেষ ব্যাপারে সেটাও যেন আসল কথা নয় ! হলে এরকম আতঙ্ক জাগবে কেন ? কেন অনুভব করবে। যে কাজটা ঠিক হবে না, নিজেকেও সে ফাকি দেবে মানুষকে ও ফাকি দেবে ? এমন একটা মারাত্মক ভুল করে বসবে যার সংশোধন নেই ? একি শুধু সংস্কার ? যাই সে ভাবুক নিজের সম্পর্কে, তার মধ্যে গোড়ামি রয়ে গেছে ?
পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।