পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তবু, জেনেও তার ভালো লাগে না। মনে হয়, ভালবাসা ঝিমিয়ে গেছে কৈলাসের-নইলে দিনের পর দিন এভাবে কৈলাস কাটায় কি করে ? প্রত্যাখ্যান-পাওয়া উপযাচিকার মতই জ্বালা বোধ করে লক্ষ্মী ! যার ফলে প্রায় অকারণেই কৈলাসের সঙ্গে সে ঝগড়া করে বসে। অন্তত তাদের কাছে যেটা অকারণ হওয়াই উচিত ছিল। কৈলাস আর গঙ্গা সেবার একসঙ্গে কলকাতা গিয়েছিল। গঙ্গা একাই যেত। মাঝে মাঝে তাকে যেতে হয়। দু-তিন সপ্তাহ সে জামা সেলাই করে, উলের জিনিস বোনে। কলকাতায় তার এক জা-এর বাসায় দু-একদিন থেকে সেগুলি বিক্রির ব্যবস্থা করে আসে। এবার কৈলাস আর সে একদিনে এক গাড়িতে একসঙ্গে কলকাতা গিয়েছিল নিছক ঘটনাচক্রে । তাই নিয়ে কী রাগ লক্ষ্মীর । তোমার কি বুদ্ধি-বিবেচনা লোপ পাচ্ছে দিন দিন ? মাথা বিগড়ে যাচ্ছে ? এটুকু খেয়াল থাকে না তোমার এটা কলকাতা নয়, পাড়াগার লোকে শহুরে বাবু-বিবি বনে যায়নি ? কী করলাম আমি ? ওই সোমাখ মাগী, সোয়ামীর ঘর করে না, কি বলে ওকে তুমি একলাটি সাথে নিয়ে গেলে ? আমি নিয়ে গেলাম ? গেলে না ? হাসিগল্প করতে করতে গেলে না। সবার চোখের সামনে দিয়ে ? ওর পুটলিট। বয়ে নিয়ে গেলে না ? তাও যদি ইস্টিশানে বুদ্ধি করে। মেয়েগাড়িতে তুলে দিতে— আমি মেয়েগাড়িতে তুলে দেব কি রকম ? উনি একলা গেলেও পুরুষের গাড়িতেই যান। লক্ষ্মীর ক্রুদ্ধ মুখের দিকে তাকিয়ে কৈলাস বুঝবার চেষ্টা করে হঠাৎ তার মাথা খারাপ হবার কারণ কি। তার ধীর শান্ত ভােব আরও রাগিয়ে দেয় লক্ষ্মীকে । SN