পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দ তাতে আশ্চর্য হয়নি। পরস্পরকে তারা বন্ধ ভাবে না।--তারা জানেও না তাদের মধ্যে কি ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে এবং দিন দিন ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। না। জানার কারণ এই যে বন্ধু বলতে দুজনেই ধারণা পুষে রেখেছে, নিঃসংকোচে যার সঙ্গে ইয়ার্কি ফাজলামি করা চলে—যে শুধু ইয়ার ! ছেলেবেলাও তারা প্রাণ খুলে মিশত। কিন্তু হালকা ইয়ার্কি, নিষিদ্ধ বদ কথা DBDB SEDBBD DBDDBBBD BBBD BB DBB BDJSSBDB DBBDD DDDD DDD ছিল, পরস্পরকে বন্ধু না ভেবে যাদের তারা বন্ধু বলে জানত । কামারের ছেলে নন্দ আর তান্ত্রিক সাধক ত্রিভুবন দত্তের ছেলের মধ্যে যতই ঘনিষ্ঠত হোক একটু গাভীর্য বজায় থেকে যেত তাদের সম্পর্কে। অল্পশিক্ষিত কম্পোজিটার কৈলাস আর বিদ্বান ডাক্তার নন্দ যতই একাত্ম হোক, সেই গাম্ভীর্যটুকু বজায় থেকে গেছে। এবং সেইজন্যই তারা যেন বন্ধু নয়! নন্দ আবার বলে, একটা কথা সবাই বলে, এ দেশটা খুব পিছিয়ে আছে। পিছিয়ে আছে সত্যি কিন্তু এমনভাবে বলা হয় কথাটা যেন পিছিয়ে আছে। মানেই অমানুষ হয়ে আছে দেশের লোক। শুনলে এমন গা জ্বালা করে আমার! পিছিয়ে থাকলে, কুসংস্কারে বদ্ধ হলে, দারিদ্র্যে পিষে গেলেই যেন মনুষ্যত্বেও ঘাটতি পড়ে মানুযেরা। জানো কৈলাসদা, এদেশে আজ পর্যন্ত এমন একজন নেতা জন্মালেন না। যিনি দেশের পিছিয়ে-থাকা মানুষগুলিকে ষোল আনা মানুষ বলে শ্রদ্ধা করতে পারলেন । এটাও এদেশের বাস্তবতার একটা ফল। নেতা হবার মত শিক্ষাদীক্ষা পেয়ে গড়ে উঠতে গেলেই গরীব মুর্থ সেকেলে মানুষগুলির জন্য শ্রদ্ধা কমে যায়। নেতারা ভাবেন, বুকভরা দরদ থাকলেই হল, এদের জন্য জীবন পণ কবিতে পারলেই হ’ল-শ্রদ্ধার অভাবটা পর্যন্ত টের পান না । ভেবে না। আমি খাটি নেতাদের খাটো করছি । ভালবাসায় ভেজাল নেই, দেশের লোকের ভালো করা ছাড়া অন্য চিন্তা নেই, কােজ নেই-এমন নেতাও ছিলেন, আজও আছেন। কিন্তু এসব তো যথেষ্ট নয়-শ্রদ্ধা চাই। এ যেন শিশুর জন্য পীড়িতের জন্য সমবেদনা, তাদের জন্য প্রাণপাত করা। শুধু স্নেহ নিয়ে আর প্রাণপণে চেষ্টা করে বাপ Sist