পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবিষ্যৎ । কচু বনে মাথা তুললেও মহীরুহের চারাটিতে আগামী বিরাটত্বই ‘আসল কথা । r গায়ের কোণে বেড়ার আড়ালে যার জীবন কাটল তার জীবনেও সম৷ জীবনের একমুখী গতির সঞ্চারটুকু বড় কথা। দয়াকে ধরেই দেখা যাক। অনেক শতাব্দীর জমাট অন্ধকারের জীব দয়া । গাদার বয়সী একটি সতীন হয়েছিল দয়ার। তার ডাক নাম ছিল বেঙি। যে কটা বাস্তব কারণে চাষীর ছেলে একটা বেী থাকতেও আবার বিয়ে করে। তার মধ্যে খুব জোরালো কারণটাই ছিল ঘনরামের স্বপক্ষে। দয়ার ছেলেমেয়ে হয়ে বাচিত না । এমনি দয়াকে পছন্দই করত। ঘনরাম কিন্তু ছেলেমেয়েকে জন্ম দিয়ে বঁাচাতে না পারায় ঘনরাম বড়ই অসুখী হয়েছিল, বড়ই বিরক্ত হয়ে উঠেছিল দয়ার উপর। গর্ভে সন্তান এসেও জন্মলাভের পর যার সন্তান বঁাচে না তার চেয়ে অভিশপ্ত স্ত্রীলোক জগতে আছে কি ? সে যদি পুরুষত্ব হারাত, সন্তানের জন্ম দেবার ক্ষমতা হারাত তাহলে অন্য কথা ছিল । এ তো দেখাই যাচ্ছে যে সে ঠিক আছে-গর্ভ সঞ্চার করতে পারছে। দয়ার। দয়ার দোষেই নিশ্চয় বঁাচে না ছেলেমেয়ে । সুখদা ছিল একটু তেজী ধরনের মেয়ে। লক্ষ্মী বা গাদার মত না হলেও তার তেজ ছিল। এই তেজটুকু না থাকলে হয়তো সে নির্জন পুকুরঘাটে হাতমুখ নেড়ে কথা কইতে যেত না একটা ব্যাটাছেলের সঙ্গে-হোক সে ব্যাটাছেলেটা তার ছেলেবেলা থেকে জানাশোনা মানুষ । আসলে সুখদার এই তেজটুকুও পছন্দ হচ্ছিল না ঘনরামের। সে গিয়েছিল কৃষ্ণের মত প্রেম করতে তার রাধিকার সঙ্গে, সুখদা কোথায় জগৎটা দেখবে ঘনরামময়, কেঁদে গলে গিয়ে বলবে দিনরাত তোমার সাথে থাকতে না পেয়ে মরে যাচ্ছি গো, তুমি আমার বাচন-মরণ সর্বস্ব-তার বদলে সে করত। হাসি তামাসা ছল চাতুরী। ছুতো পেয়েই সে তেজী মেয়েটাকে বাতিল করেছিল। কাল ঝেড়েছিল R O Ne