পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানা চেনা মানুষগুলি তাকে টানে ওদের আরও আপন করার জন্য তারই কামনা দিয়ে। ওদের চালচলন ধরনধারন আর জীবনযাপনের রকমটা জানাই শুধু নয়, ওদের চেতনার আলিগলির সন্ধান জানার আগ্রহ তার চিরদিনই ছিল, এবার সেটা আরও জোরালো হয়েছে। চাষী মেয়ে তার কাছে ছিল পাপড়ি-বোজা ফুলের মত। তার কাছেও কোন ফুল কখনো দল মেলবে দু-একটি করে, এ আশা শুভর ছিল না। লজ আর ভীরুতার দুর্ভেদ্য আবরণে কিনা অনেক ফাটল ধরেছে লক্ষ্মীর, তার সঙ্গে মেশার সুযোগ পেয়ে ওই চিররহস্যময়ী ফুলটির দুটি একটি পাপড়ি খুলে যেতে শুরু করেছে, লক্ষ্মীর টানটা তাই সে অনুভব করে সবচেয়ে বেশী । জগদীশ যেন পিতৃত্বের অধিকার খাটিয়ে এ টানটা দমিয়ে রেখেছিল, বাপের সঙ্গে সম্পর্ক ঘুচিয়ে দিতেই জোরালো এবং বাস্তব হয়ে উঠেছে। আরেকটা আতঙ্কও ঘুচে গেছে তার। এই টান যেন বংশগত সেই রোগটাও তার সারিয়ে দিয়েছে-লক্ষ্মীর মত চাষীর ঘরের মেয়ে-বেীকে গায়ের জোরে ভোগ করার হঠাৎ-জাগা দুর্দান্ত কামনা । গায়ের এই টান, লক্ষ্মীর এই টান, ভারি খুসি করে শুভকে। সে তবে সত্যিই দেশকে ভালবাসে ! কর্তব্য হিসাবে ভালবাসা নয়, সত্যই তার তবে প্রাণের টান আছে! পৃথিবীতে সবচেয়ে অগ্রসর জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েও, বৈজ্ঞানিক হিসাবে পৃথিবীর সবচেয়ে অগ্রসর মানুষগুলির একজন হয়েও, সত্য সুন্দর মার্জিত জীবনযাপনের সুযোগ পেয়েও সে দেশের শিক্ষাদীক্ষা-হীন গরীব নোংরা অসভ্য মানুষগুলির জন্য দরদ ভুলে যায়নি! একি সহজ আত্মপ্রসাদের কথা। একজন মানুষের পক্ষে ! চারিদিকে তোলপাড় চলেছে বাপের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে, জগদীশ নতুন করে তাণ্ডব জুড়েছে অত্যাচারের, এসময় কিছু দিন তার পক্ষে বারতলায় যাওয়াটা সঙ্গত হবে না। গেলে সোজাসুজি শক্রতায় নামতে হবে জগদীশের সঙ্গে-প্রজাদের পক্ষ নিয়ে তার অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে। R (R