পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়েছিল জাহাজে চেপে সাত সমূদ্র তের নদী পার হয়ে, ফিয়েছে আকাশপথে প্লেনে। যাওয়ার সময়ের চেয়ে সে এখন নিঃসন্দেহে অনেক বড় বৈজ্ঞানিক । শুভময় ছেলেবেলায়.কবিতা লিখত। সবকিছু জানার একটা জোরালো ঝোক ছিল। . বাড়িতে স্নেহ-আদরের যান্ত্রিক সমারোহে আর স্কুলে কিছু না জানতে দিয়ে বিদ্যা দানের ব্যবস্থায় তা ব্যাহত হয়। সেটাই সব কিছু রহস্যময় অজানা সম্পর্কে জানার ব্যাকুলতায় দাড়িয়ে গিয়ে কিশোর বয়সে কবিতা হয়ে বেরিয়ে আসত। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে তার মাথা খুলে যায়। তরতর করে কলেজে পরীক্ষায় ধাপ বেয়ে উঠেছিল, একটা ডক্টরেট নিয়ে থামত সন্দেহ নেই। সকলে সেই পরামর্শই দিয়েছিল। কিন্তু ডক্টরেটের জন্য পা বাড়াতে গিয়ে হঠাৎ সে কেন থমকে দাড়াল কেউ জানে না। সাধারণ পানী ও কচুরি পানার সবুজ বর্ণসত্তার তারতম্যের জন্য আলোকরশ্মির বিস্মরণ ও কেন্দ্রীকরণ এবং ম্যালেরিয়াবাহী মশা ও সাধারণ মশার স্বায়ু তন্ত্রীর উপর ঘুটের ধোয়ার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার সামঞ্জস্যের সাহায্যে কি ভাবে আবিষ্কার করা যায় গ্রীষ্ম-মেঘলা দেশে কেন পানী ও মশার উৎপাত আর পশ্চিমের সাম্রাজ্য বিস্তার—এই রকম কোন নিগুঢ় জটিল বিষয়ে একেবারে নতুন রকম থিসিস লেখার কথা ভাবতে ভাবতে কেন সে মত পালটেছিল আত্মীয়বন্ধু কাউকে তার একটু আভাস পর্যন্ত সে দেয়নি। পরীক্ষা পাশের মাপকাঠিতে পদার্থবিজ্ঞানে একটা ডক্টরেট পাওয়ার মত বিদ্যা আয়ত্ত করে সে পত্তন করেছিল স্টোভ ল্যাম্প লণ্ঠন তৈরীর ওই নবশিল্প शमिद्ध । বিদেশে কি শিখতে গিয়েছিল তাও খুলে বলে যায়নি। শুধু এইটুকু জানিয়েছিল যে ডিগ্রি-ফিগ্রির লোভ তার আর নেই, ফলিত-বিজ্ঞান শিল্প-বিজ্ঞান এসব যা পারবে যতটা পারবে শিখে আসবে। এদেশের বিশেষ অবস্থায় বিজ্ঞানের যে বিশেষ শিক্ষা বিশেষভাবে কাজে লাগবে । শুভর। দোষ ছিল না। বিজ্ঞানের এত ভাল ছাত্র, বড় বড় বৈজ্ঞানিকের সঙ্গে তার যোগাযোগ অথচ এই সহজ বৈজ্ঞানিক শিক্ষাটুকু সে কারও কাছে \ly