পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পায়নি যে ভাবের বশে এরকম এলোমেলো ভাবে বিজ্ঞান শেখা যায় না। বিজ্ঞান শেখার পদ্ধতিটাও বৈজ্ঞানিক । দমদম এরোড্রোমে জগদীশ ও কয়েকজন আত্মীয়বন্ধু তার প্লেমের জন্য অপেক্ষা করছিল। সকলের মধ্যে গভীর অস্বস্তিবোধ। যাই শিখতে গিয়ে । থােক, এ এক রকম শখের বিলাত যাওয়া । তাও আবার বিয়ে-টিয়ে না করেই গিয়েছে। কি মূর্তিতে কি ভাবে ছেলে ফিরছেন কে জানে! জগদীশ বলে, ওকে ধরলে আমাদের এলাকায় দুজন বিলেত-ফেরত হল। তাও এক বাড়িতে। কাকা জোর করে গিয়েছিলেন, সে আজ প্রায় চল্লিশ বছর হল। আগের বারের বড় যুদ্ধটার ঠিক আগে। আরও দু-চার জনের শখ হয়েছিল, কাজে কিছু হয়নি। সিদ্ধেশ্বরের ছেলেটা সব ঠিকঠাক করেও শেষ পর্যন্ত একটা চাকরি পেয়ে আর গেল না । জীবন বলে, স্বদেশীর তোড়টা বেড়ে যাওয়ায় বিলাত যাওয়ার নেশাটো কেটে शिअंछिल । জগদীশের বন্ধু ও চিকিৎসক বিলাত-ফেরত স্পেশালিস্ট ডাক্তার ভূদেব প্রায় সাদা-হয়ে-আসা মাথাটা নেড়ে বলে, কে বললে আপনাকে ? বিলাত যাবে তার সঙ্গে স্বদেশী আন্দোলন বাড়া-কমার সম্পর্ক কি ? পরে তখনকার চেয়ে ঢের বেশী এসেছে গিয়েছে। আজকাল তো ডাল-ভাত । কলকাতায় ভূদেবের জবর পাশার। গোড়ার দিকে কম পয়সার দিনে ছিল উগ্র সায়েব, দেশী মানুষের পয়সা বেশী পরিমাণে ঘরে এসে জমতে জমতে একেবারে স্বদেশী বনে গেছে। মাঝে মাঝে গ্রাম্য অশ্লীল রসিকতা পর্যন্ত তার মুখে Cara i একটু বেমানান বেখাপ্পা হয় রসিকতা। যেন, কলকে থেকে দা-কাটা তামাক চুরুট কিম্বা সিগারেটে ঢেলে সাজা হয়েছে! নন্দ বলে, ডাল-ডাত ? ডাল-ভাত নয়, একটা স্পেশাল ক্লাসের মাংস-রুটি বলুন ! আগে থাকত ডবল মুক্তির লোভ, গোড়া ফ্যামিলির বঁাধনটাও খসত,