পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাক, প্রায়শ্চিত্ত কর। মা আবার প্রসন্ন হুবেন। . . . ' ' + . প্রায়শ্চিত্তের বিধানও দেবেন দিয়েছিল। অর্থাৎ দেবেন তাকে দিয়ে যথাবিধি তার প্রায়শ্চিত্ত করিয়ে দেবে। ه» , কিন্তু আনুষ্ঠানিক প্রায়শ্চিত্তে ত্রিভুবনের মন ওঠেনি। সে তো যোগী নয়, সন্ন্যাসী নয়, পূজা-অৰ্চনা-সাধনার এক নিয়ম ভঙ্গ করে সে তো মাকে বিদ্রুপ করেনি যে আরেক নিয়মে প্রায়শ্চিত্ত করলেই তার প্রতিকার হবে। তারপর নাকি স্বপ্নে প্রায়শ্চিত্তের নির্দেশ এসেছিল । এক বছর ত্রিভুবন কৈলাসের মুখ দেখবে না। জীবনে কোনদিন ছেলের রোজগার ভোগ করতে পারবে না। " ঠিক। শান্তি বললে শাস্তি, পুরস্কার বললে পুরস্কার। এই তো দরকার ছিল তার। বড় বেশী মায়া জন্মেছিল ছেলের উপর, বড় বেশী আশা করছিল ছেলেকে মানুষ করে তার রোজগার ভোগ করে সুখ পাবার ! পুরো এক বছর কৈলাস মামারবাড়ি ছিল। তারপর এলোমেলো উলটােপালটা জীবন। শেষে কম্পোজিটারি শিখে এই কাজে ঢুকেছিল। আজও ত্রিভুবন তার উপার্জনের একটি পয়সা ছোয় না, তার কেনা কোন জিনিস ব্যবহার করে না, ফলটুকু পর্যন্ত খায় না ; তার পয়সায় কেনা খড়ে, ছাওয়ানো চালের ঘরে বাস পর্যন্ত করে না । নিজের জন্য একটি পৃথক ছোট ঘর সে করে নিয়েছে। মা আছে, ভাইবোন আছে কৈলাসের। বিয়ে করেছিল,-লক্ষ্মীর চেষ্টায় লক্ষ্মীরই একটি খুড়তুতো সম্পর্কের বোনকে। সুন্দর টুকটুকে পুতুলের মত ছিল মেয়েট-কার সাধ্য আছে মায়া না করে পারে ? বিয়ের ছমাসের মধ্যে সাপের কামড়ে কৈলাসের কচি বৌটি মারা যায়। তারই বাপের বাড়ির অনেক দিনের জানাচেনা এক রকম পোষা বাস্তু সাপ ! পায়ের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও কামড়ায় না। 2