পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এড়িয়ে যাচ্ছে কথাটা। গা লাগিয়ে করাও না মিটিংটা আর রোববার ? কলকাতা থেকে দু-চারজনকে নিয়ে এস ? মিটিং ? তা মিটিং একটা হলে ক্ষতি নেই। মিটিং-এর অভাব অবশ্য কৈল বোধ করে মা, সে কলকাতায় থাকে। তার আসল অভাব মেটে না ওসব মিটিং-এ, তার ভাবনার একটা কিনারা মেলে না,-তার পথ কি, তার কি করা উচিত। বলছে অনেকে অনেক কথা, প্রাণে লাগছে কৈ-একেবারে মৰ্মে মর্মে জানছে কৈ যে হ্যা, ঠিক, এই তো আসল কথা ! অনেক দিন আগে ওই জীবনের বক্তৃতা শুনে যেমন জলের মতো সোজা হয়ে যেত। স্বাধীনতা আদায় করার কথা, প্রাণটা সায় দিয়ে লাফিয়ে উঠত। তবে এটা হবে গায়ের মিটিং। হয়তো এখানে বক্তৃত হবে ভিন্ন রকম। দশবার শোনা কথা জানা কথা আরও একবার জটিল করে না বলে সহজ করে আসল কথা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। হয়তো তারও এই যন্ত্রণাদায়ক অবস্থার অবসান হয়ে যাবে। নন্দ বলে, মিটিং ? তুমি তো হালচাল জানো ভাই। মিটিং ডাকার কথা হয়েছে। জীবনবাবু চাইছেন, ওঁর জন্যেই একটা মিটিং ডাকা হোক। তিনি সব সমস্যা নিয়ে তঁর মত বলবেন। শুভ বলছে, জীবনবাবুকে সভাপতি করে একটা মিটিং ডাকা হোক, আলোচনার বিষয় হোক আমাদের পররাষ্ট্র-নীতি কি ভাবে শিল্পোন্নতি ঠেকাচ্ছে। লোচনেরা বলছে, ফসল কাটার বেশী দেরি নেই, ধানের দর ঠিক করা, গায়ের জোরে ধান সীজ করা এ সব বিষয়ে চাষীরা কি করবে। তাই নিয়ে মিটিং হোক। জীবনবাবু সভাপতি হলে আপত্তি নেই। গজেনেরা বলছে, বিষ্ণুদাকে অভ্যর্থনা জানানোর মিটিং হোক—সেখানে যার যে বিষয়ে খুশি বলবেন। জীবনবাবু যদি রাজী হন, তিনিই সভাপতি হবেন, বিষ্ণুদা হবেন প্রধান অতিথি । বিষ্ণুদা ছাড়া পেয়েছেন ? এদিকে আসবেন কবে ? VS