পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফকির বলে, ইচ্ছন্ন তো তাই। তবে কিনা পাঁচজনে শুমানিলে না চুয়ে উপায় থাকবে কি । A . . ঘনরাম প্রশ্ন করে, ডাক্তার তো বার হল না ? এ কি রকম ব্যাপার ? ভিতরে ব্যন্ত আছে। এবার তবে রওনা দাও, বেলা হয়ে যাবে। পিনাকের সঙ্গে হেঁটে দীঘিপাড়ায় পৌছতে পৌছতে কুয়াশা খানিকটা হালকা হয়ে আসে, এবার তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। দীঘিপাড়ায় ঘন বসতি, খড়ের চালার ঘরই বেশী, দালানও আছে কয়েকটা। সোনামাটির এই দীঘিপাড়া ও কুয়াতলাতেই গায়ের যে কজন স্বচ্ছল, সম্পন্ন এবং গরীব ভদ্র গৃহস্থের বাস। ধারণী এখনো দর্শন দান করেনি, তবে আর খুব বেশী দেরি যে তার হবে না। অন্দর থেকে সদরে আসতে তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ৷ তক্তপোয্যের ফরাসি বেড়ে বঁধানো হুকোটা রেখে গেছে কানাই, বুড়ো ইন্দ্র সরকার চোখে চশমা এটে থেরো-বাধানো খাতা খুলে বসেছে, ধরণীর ভাগ্নে আচমকা এসে উকি দিয়ে Cሻርጝ Cፃiርቛ ! তারা ছাড়াও অনেকে মেঝেতে উবু হয়ে বসে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল, তারা বসতে বসতে আরও দুজন এল। রাজেন দাসকে দেখে একটু অবাক লাগে সকলের, তার অবস্থা ভাল বলেই জানত সকলে, বছরের কোন সময়ে ভাতের অভাব হয় না । ধান কার্জ চাইতে এসেছে রাজেন দাস, না। টাকা ? অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে ? যেমন বিপন্ন ভাব তার, কারো দিকে না তাকিয়ে যেভাবে এক পাশে দাড়িয়ে চোখ পেতে রেখেছে কদম গাছটায়, তাতে মনে হয় অনুগ্রহই বুঝি চাইতে এসেছে ধরণীর কাছে—যে কাজটা করা তার অভ্যাস নয়। সোনামুদি আর তিনকড়িই বা কেন এসেছে কে জানে ? নিঃস্ব পথের ভিখারী হয়ে গেছে দুজনেই ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হয়ে, এক কাহন খড়ও নেই ওদের যে ধরণীর কাছে কোন দয়া প্রত্যাশা করতে পারে। পরস্পরের মধ্যে কথা চলতে থাকে ধীরে ধীরে, নতুন কিছু জানার বা বলার থাকলে জিজ্ঞাসা ও জবাব, দুএকটি শব্দে আপসোস বা সমবেদনা ” bሠ» وعــــــ RSFFخ