পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এতগুলি মানুষের তীব্র প্রচণ্ড হৃদয়াবেগে এতটুকু অদল-বদল এদিক-ওদিক হয় না ধরণীর বার-কাছারির আদালতী চাল-চলন ঠমক আর কার্যপদ্ধতি । আইন ছাড়া এখানে কথা নেই, আইনের মার-প্যাচ ছাড়া। ধরণী, তরফদারের কাছারিতে তার বিধান ছাড়া, রীতিনীতি নেই, তার চালাবাজি ছাড়া , গতি৷ নেই। চাষীরা রাজার আদালতও জানে, জোতদারের কাছারিও জানে-একটু বেশী ঘনিষ্ঠ ভাবে জানে। প্রত্যেকের মনে হয় সে যেন খুনী আসামী । - র্যাসির দড়িটা গলায় দেবার দিনটা ক’দিন পিছিয়ে দেওয়াই অসীম দয়া হাকিম, আর Z百计可而t不死可以 * ܣܝ - ,༨ ( টিমে তালে কাজ চলে। শ্রীনাথ মাইতি লোচন সরকারের হাতে বৌয়ের মল দুটি তুলে দিয়ে ঠায় বসে থাকে এক ঘণ্টা, তার পর দয়া করে কাটা টাকা তাকে দেওয়া হয় দু মাসের সুন্দ কেটে রেখে । আগের বার আগাম সুন্দ তো কাটেননি। কান্ত ? শ্রীনাথ নিবেদন জানায় সবিনয়ে । আগের বার জানতাম সুন্দ দিতে পারবে, তাই কাটিনি ! ধারণী তাকে বুঝিয়ে দেয়, আসল টাকাটা এবার মারা যাবে কি না খটকা আছে বাপধন ! খানিক চুপ-চাপ মাথা ঘামিয়ে ব্যাপারটা বুঝতে হয় শ্রীনাথের। রুপার মল বাধা দিয়েছে, বোধ হয় আদেক দামে। আসল না দিক, সুন্দ না দিক, রুপার মল দুটো তো থাকবে ধরণীর। তবে তার লোকসানের ভয়টা কিসের ? মল। তবে ফেরত দেন। কর্তা —এক টাকার নোট ক’টা শ্রীনাথ বাড়িয়ে দেয়? লোচনের দিকে, মল বেচেই দেব সুধী কামারকে, আর বঁাধা রেখে কােজ নেই । আর হয় না, লেখা-পড়া হয়ে গেছে, ধারণী বলে গম্ভীর আওয়াজে, বেচে দিলেই "পারতে ? গোড়ায় বললেই হ’ত ? রাজেন দাস বলে, অনভিজ্ঞ বোকার মতই বলে শ্রীনাথের পক্ষ নিয়ে, ভুল করে বাধা দিয়েছে, ছাড়িয়ে নিতে চায় । भिक । mak উদাস ভাবে অনুমতি দেয় ধারণী । ህ ግ