পাতা:ইতিহাস - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পরলোকগত শরৎকুমার রায়ের ‘শিবাজী ও মারাঠা জাতি’ গ্রন্থের (১৩১৫) ভূমিকারূপে ব্যবহৃত হইয়াছে।
  এই রচনা শরৎকুমার রায়ের ‘শিখগুরু ও শিখজাতি’ গ্রন্থের (১৩১৭) ভূমিকারূপে ব্যবহৃত হইয়াছে। বর্তমান গ্রন্থে মুদ্রিত প্রবন্ধের শেষ অংশ (“যাহা হউক, মারাঠা ও শিখের তুলিতে পারে না।”) প্রবাসী পত্রিকায় নাই, উক্ত ভূমিকায় অতিরিক্ত আছে। এই প্রবন্ধটিও শ্রীযুক্ত যদুনাথ সরকার মহাশয় ইংরেজিতে অনুবাদ করিয়া মডার্‌ন রিভিউ পত্রে (১৯১১ এপ্রিল) The Rise and Fall of the Sikh Power নামে প্রকাশ করিয়াছিলেন।
  বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাকালে তথায় ‘ভারতের প্রকৃত ইতিহাস’-অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার ব্যবস্থার কথা যে কালে কবি পর্যালোচনা করিতেছিলেন, সেই সময় এই প্রবন্ধ রচিত। প্রবন্ধশেষে লিখিয়াছিলেন— ‘বিশ্বভারতীতে কোনো ছাত্র যদি এই [মহাযান বৌদ্ধপুরাণ-সকলের] অনুশীলনে নিযুক্ত হইতে পারেন তবে আনন্দের বিষয় হইবে। এখানে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যাপনার জন্য সিংহলের মহাস্থবির মহাশয় আছেন এবং বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয় সংস্কৃত অধ্যাপনার অধ্যক্ষ করিতেছেন, অতএব এখানে এই কাজ আরম্ভ করার সুযোগ আছে।’
 ৬-৮ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্নী জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর সম্পাদনায় ও রবীন্দ্রনাথের কার্যাধ্যক্ষতায় প্রকাশিত বালকদের পাঠ্য সচিত্র কাগজ বালকে মুদ্রিত এই প্রবন্ধগুলি, তৎকাল-প্রচলিত শিখজাতির ইতিহাসসম্বন্ধীয় গ্রন্থসমূহের ভিত্তিতে রচিত। পরবর্তীকালে এই ইতিহাস সম্বন্ধে আরও তথ্য প্রকাশিত হইয়াছে। এই-সকল প্রবন্ধে তথ্যগত অসম্পূর্ণতার সম্ভাবনা কোথাও কিছু থাকিলেও ইহাদের অন্য বিশেষ একটি মূল্য আছে।
[ ৬ ]