পাতা:ইতিহাস - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 শিখ-ইতিহাসকাহিনী লইয়া পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ একাধিক কবিতা রচনা করিয়াছেন- এই প্রবন্ধগুলি তাহারই একরূপ,খসড়া-লিপি বলা চলে। মানসী কাব্যের ‘গুরুগোবিন্দ’, ‘নিষ্ফল উপহার’ এবং কথা কাব্যে ‘শেষ শিক্ষা’, ‘প্রার্থনাতীত দান’, ‘বন্দীবীর’ প্রভৃতি স্মরণ করা যাইতে পারে। শিখগুরুগণ যে ধর্মের সংগীত, যে আনন্দ ও আশার গান গাহিলেন... কত নূতন নূতন গুরু জাগিয়া উঠিয়া শিখদিগকে মহত্তের পথে অগ্রসর করিতে লাগিলেন’ সেই কাহিনী কিশোরচিত্তে দৃঢ়মুদ্রিত করিয়া দেওয়াই রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য ছিল। সেই বিবেচনায় যেমন উক্ত বহুখ্যাত কবিতাগুলির তেমনি এই রচনাগুলিরও রক্ষণ ও প্রচার আবশ্যক।

 ‘কাজের লোক কে’ ছুটির পড়া (১৯০৯: ১৩১৬) পুস্তকে প্রকাশিত হইয়াছিল।

  রচনাটি ভ, (অর্থাৎ, ভানুসিংহ, রবীন্দ্রনাথের ছদ্মনাম) স্বাক্ষরে প্রকাশিত হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালেই ইহা তাহার রচনা বলিয়া স্বীকৃত হয়; দ্রষ্টব্য- ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাস কর্তৃক সংকলিত রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী’, শনিবারের চিঠি, কার্তিক ১৩৪৬। রচনাটির রবীন্দ্রনাথের স্বহস্তলিখিত প্রাথমিক খসড়া শান্তিনিকেতন রবীন্দ্র সদনে রক্ষিত আছে।

 রচনাটি প্রকাশিত হইবার সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স কিঞ্চিদূর্ধ্ব ষোল বৎসর; প্রথম পরিশিষ্টের প্রবন্ধগুলির ন্যায় ইহাও তৎকাল-প্রচলিত ইতিহাস-গ্রন্থাদির ভিত্তিতে রচিত।

 ১০ ভারতী পত্রে ‘প্রসঙ্গকথা’ নামে প্রকাশিত। রচনাটি রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাদশ খণ্ডে শিক্ষা গ্রন্থের পরিশিষ্টে ‘প্রসঙ্গকথা ২’ নামে মুদ্রিত হইয়াছে।

[৭]