পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ाठेरछम Se? তিনি গাড়ি প্রস্তুত করিতে বলিলেন । গাড়ি প্রস্তুত হইলে কোথায় গেলেন । আট দিনের মধ্যে এই তিনি প্রথমে আমার কাছ ছাড়া হইলেন । ক্ষণেক পরে ফিরিয়া আসিলেন । কোথায় গিয়াছিলেন, তাহা আমাকে কিছু বলিলেন না। আমিও কিছু জিজ্ঞাসা করিলাম না। অপরাহ্লে আৰার গেলেন। এবার একখানি কাগজ হাতে করিয়া আসিলেন । বলিলেন, "ইহা লও। তোমাকে আমার সমস্ত সম্পত্তি লিথিয়া দিলাম। উকীলের বাড়ী হইতে এই দানপত্র লেখাইয়া আনিয়াছি । যদি তোমাকে আমি কথন ত্যাগ করি, তবে আমাকে ভিক্ষা করিয়া খাইতে হইবে।” BBB BBB BBBB BBBB BBBSBBB BBB BB BB BBBS BB BBBB BBB স্পর্শ করিয়া বলিলাম, “আজি হইতে আমি তোমার চিরকালের দাসী হইলাম। পরীক্ষা শেষ হইয়াছে।” অষ্টম পরিচ্ছেদ । তাহার পরেই মনে২ বলিলাম, “এইবার সোণার চাদ, আর কোথায় যাইবে ? তবে নাকি আমাকে গ্রহণ করিবে না ?” যে অভিপ্রায়ে, আমার এত জাল পাতা, তাহ সিদ্ধ হইল। এখন আমি তাহার স্ত্রী বলিয়া পরিচয় দিলে, তিনি যদি গ্রহণ না করেন, তবে তাহাকে সর্ব্বত্যাগী হইতে হইবে। আমার পিতা নাম রাখিয়াছিলেন “ইন্দিরা”—মাতা নাম রাখিয়াছিলেন “কুমুদিনী।” শ্বশুর বাড়ীতে ইন্দির নামই জানিত, কিন্তু পিত্রালয়ে অনেকেই আমাকে কুমুদিনী বলিত। রাম রাম দত্তের বাড়ীতে আমি কুমুদিনী নাম ভিন্ন ইন্দির নাম বলি নাই। ইহার কাছে আমি কুমুদিনী ভিন্ন ইন্দির নাম প্রকাশ করি নাই। কুমুদিনী নামেই লেখা পড়া হইয়াছিল । কিছু দিন আমরা কলিকাতায় স্বখে সচ্ছন্দে রহিলাম। আমি এপর্য্যস্ত পরিচয় দিলাম না । ইচ্ছা ছিল, একেবারে মহেশপুরে গিয়া পরিচয় দিব । ছলে কৌশলে স্বামীর নিকট হইতে মহেশপুরের সম্বাদ সকল জানিয়াছিলাম—সকলে কুশলে ছিলেন, কিন্তু তাহাদের দেখিবার জন্ত বড় মন ব্যস্ত হইয়াছিল । আমি স্বামীকে বলিলাম, “আমি একবার কালাদীঘি যাইয়া পিতামাতাকে দেখিয়া আসিব । আমাকে পাঠাইয়া দাও।” স্বামী ইহাতে নিতাস্ত অনিচ্ছুক। আমাকে ছাড়িয়া দিয়া কি প্রকারে থাকিবেন ? কিন্তু এদিকে আমার আজ্ঞাকারী, “না বলিতে পারিলেন না। বলিলেন, “কালাদীঘি ধাইতে আসিতে এখান হইতে পনের দিনের পথ ; এতদিন তোমাকে না দেখিতে পাইলে আমি মরিয়া যাইব । আমি তোমার সঙ্গে शाहेद ।” আমি বলিলাম, “আমিও তাই চাই। কিন্তু তুমি কালানীঘি গিয়া কোথায় থাকিবে ?” তিনি চিন্তু করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কালার্দীঘিতে কতদিন থাকিবে ?” আমি বলিলাম, "তোমাকে যদি না দেখিতে পাই, তবে পাচদিনের বেশী থাকিব না।”