छूर्शिक তাম্রলিপ্তের ঘটনা লইয়া যুগলাঙ্গুরীয় রচিত। যুগলাঙ্গুৰীয় রচিত হইবার প্রায় পনর বৎসর পূর্ব্বে বঙ্কিমচন্দ্র একবার তমলুকে আসিয়াছিলেন।...তমলুকের দৃপ্ত র্তাহার হৃদয়ে গভীর অঙ্কপাত করিয়াছিল। পনর বৎসরেও তিনি তাহ ভোলেন নাই। পনর বৎসর পরে তিনি তমলুকের এই চিত্র উঠাইয়া লইয়৷ যুগলাঙ্গুরীয়তে আঁকিয়াছিলেন – বঙ্কিম-জীবনী', ৩য় সংস্করণ, পৃ. ৩-৪-৬। ইন্দির' ও 'যুগলাঙ্গুরীয় একই সময়ে রচিত হয়; বঙ্কিমচন্দ্রের মনে তখন ছোট গল্প লেখার একটা বোক চাপিয়াছিল। ইন্দির ১২৭৯ সনের চৈত্র এবং যুগলাঙ্গুরীয় ১২৮০ সনের বৈশাখ সংখ্যা বঙ্গদর্শনে বাহির হয়। ১২৮১ বঙ্গাব্দে ইহা পুস্তকাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ছিল ৩৬। প্রথম সংস্করণের আখ্যাপত্র এইরূপ :– SBBBBDDS S BBBBS BDBBB DBBBBS BBBS DBBBBS DDDDD DD ঐ হারাণচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায় কর্তৃক rমুদ্রিত ও প্রকাশিত। ১২৮১। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবিতকালে ইহার পাচটি সংস্করণ হয়। অনুমান হয়, ইহার দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্করণ যথাক্রমে উপকথা’ পুস্তকের প্রথম (১৮৭৭) ও দ্বিতীয় (১৮৮১) সংস্করণের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছিল। চতুর্থ সংস্করণ ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ছিল ৩৬। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপন্যাস পুস্তকে (১৮৮৬) এই সংস্করণই যুক্ত হইয়াছিল। পঞ্চম বা বঙ্কিমের জীবিতকালে শেষ সংস্করণ ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ৫০। বর্তমান সংস্করণে এই পাঠই অমুস্থত হইয়াছে। - বঙ্কিমচন্দ্রের জামাতা রাখালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, বি. এ., ১৮৯৭ খ্রীষ্টাব্দে কলিকাতা হইতে The Tuo Rings নামে এবং ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে পি. এন. বসু ও মোরেনো Yagalanguriga নামে যুগলাঙ্গুরীয়ের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেন। ১৯১৮ সনে কলিকাতা হইতে প্রকাশিত জে.ডি. অ্যাণ্ডারসনের Indira and other Storieং পুস্তকেও ইহার অনুবাদ আছে। ১৯১৯ সনে কলিকাতা হইতে ডি. সি. রায়-কৃত অমুবাদ The Two Rings and Radharant নামে প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্ত্রের জীবিতকালে পাটনা হইতে কে. আর. ভাট ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দে ইহার হিনী অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।