পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११ ইন্দির তার জায়গায় রাখাইয়া দিব। তোমাকে রাধুনীর মত রাধিতে হুইবে না। আমরা সকলেই রাধিব, তারই সঙ্গে তুমি হুই এক দিন রাধিবে। কেমন রাজি " ছেলে বলিল, “আজি ? ও আজি ।” মা বলিল, “তুই পাজি ।” ছেলে বলিল, “আমি বাবু, বাবা পাজি ।” “অমন কথা বলতে নেই বাবা।” এই কথা ছেলেকে বলিয়া আমার মুখপানে চাহিয়া হাসিয়া সুভাষিণী বলিল, “নিত্যই বলে।” আমি বলিলাম, “আপনার কাছে আমি দাসীপনা করিতেও রাজি ।” *, “আপনি কেন বল ভাই ? বল ত মাকে বলিও। সেই মাকে লইয়া একটু গোল আছে। তিনি একটু খিটখিটে—তাকে বশ করিয়া লইতে হইবে। তা তুমি পরিবে— আমি মানুষ চিনি। কেমন রাজি ?” o আমি বলিলাম, “রাজি না হইয়া কি করি ? আমার আর উপায় নাই।” আমার চক্ষুতে আবার জল আসিল । সে বলিল, “উপায় নাই কেন ?? রও ভাই, আমি আসল কথা ভুলিয়া গিয়াছি । আমি আসিতেছি।” 粤 স্বভাষিণী ভো করিয়া ছুটিয়া মাসীর কাছে গেল—বলিল, “হঁ, গা, ইনি তোমাদের কে গা ?” ঐটুকু পর্য্যন্ত আমি শুনিতে পাইলাম। র্তার মাসী কি বলিলেন, তাহ শুনিতে “ পাইলাম না। বোধ হয়, তিনি যতটুকু জানিতেন, তাহাই বলিলেন। বলা বাহুল্য, তিনি কিছুই জানিতেন না ; পুরোহিতের কাছে যতটুকু শুনিয়াছিলেন, ততটুকু পর্য্যন্ত। ছেলেটি এবার মার সঙ্গে যায় নাই—আমার হাত লইয়। খেলা করিতেছিল। আমি তাহার সঙ্গে কথা কহিতেছিলাম। সুভাষিণী ফিরিয়া আসিল । ছেলে বলিল, “ম, আঙ্গা হাত দেখ ।” 蠟 স্বভাষিণী হাসিয়া বলিল, “আমি তা অনেকক্ষণ দেখিয়াছি।” আমাকে বলিল, “চল গাড়ি তৈয়ার । না যাও, আমি ধরিয়া লইয়। যাইব । কিন্তু যে কথাটা বলিয়াছি— মাকে বশ করিতে হইবে।” স্বভাবিণী আমাকে টানিয়া লইয়া গিয়া গাড়িতে তুলিল। পুরোহিত মহাশয়ের দেওয়া রাঙ্গাপেড়ে কাপড় দুইখানির মধ্যে একখানি আমি পরিয়াছিলাম—আর একখানি هيم به