ভূমিকা বঙ্গদর্শন-সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করিয়া বঙ্কিমচন্দ্রকে সব্যসাচী হইতে হইয়াছিল। সে যুগে লেখকের সংখ্যা খুব বেশী ছিল না। বঙ্গদর্শনের মত উচ্চ শ্রেণীর মাসিক পত্রের লেখক যেমন র্তাহাকে প্রস্তুত করিয়া লইতে হইয়াছে, সাময়িক-পত্রের উপযোগী বিভিন্ন ধরণের লেখার আদর্শও তাহাকে নিজেই গড়িয়া লইতে হইয়াছিল। এই আদর্শ-প্রস্তুতের পরীক্ষায় বাংলা-সাহিত্য কমলাকাস্তের দপ্তর’, ‘লোকরহস্য’, ‘গদ্য পদ্য বা কবিতাপুস্তক, বিজ্ঞানরহস্য’, ‘বিবিধ সমালোচন’, ‘প্রবন্ধ-পুস্তক প্রভৃতি বিচিত্র রচনাবলীর দ্বারা সমৃদ্ধ হইয়াছে। ইন্দিরাও বঙ্গদর্শনের বৈচিত্র্য-সম্পাদনে রচিত হইয়াছিল। ইহাকে বাংলাসাহিত্যে ছোট-গল্প রচনার পরীক্ষার প্রথম ফল বলা যাইতে পারে। 姆 ১২৭৯ বঙ্গাব্দের অর্থাৎ প্রথম বৎসরের বঙ্গদর্শনের চৈত্র সংখ্যায় ইন্দিরা সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্ব্ব-বৎসর পর্যন্ত ইহা ছোট-গল্প আকারেই প্রকাশিত হইয়াছে। ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে ইন্দিরা বৃদ্ধি পাইয়া উপন্যাসের আকার গ্রহণ করে। ইহাই ইন্দিরা’র পঞ্চম বা বঙ্কিমচন্দ্রের জীবিতকালের শেষ সংস্করণ। এই সংস্করণের পাঠই মূল পাঠ বলিয়া গৃহীত হইয়াছে। - ‘ইন্দির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১২৮০ বঙ্গাব্দে, পৃষ্ঠা-সংখ্যা ছিল ৪৫। ইহার আখ্যাপত্র এইরূপ ছিল— ইন্দির। । উপন্যাস। । বঙ্গদর্শন হইতে উদ্ভূত। । কাটালপাড়া। বঙ্গদর্শন যন্ত্রালয়ে ঐ হারাণচঞ্জ বঙ্গ্যোপাধ্যায়, কর্তৃক মুদ্রিত। ১২৮• । মূল্য চারি আন মাত্র। প্রথম সংস্করণ ও পঞ্চম সংস্করণের পরিবর্তন বুঝাইবার জন্য আমরা বর্তমান সংস্করণের শেষে প্রথম সংস্করণ হুবহু পুনমুদ্রিত করিয়াছি। সুতরাং পাঠভেদ দেওয়া হয় নাই। ইন্দিরা'র দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্করণের স্বতন্ত্র পুস্তক আমরা দেখি নাই। অনুমান হয়, ১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত উপকথা’ পুস্তকে মুদ্রিত ইন্দিরা”কে দ্বিতীয় সংস্করণ এবং ১৮৮১ খ্রীষ্টাব্দে মুদ্রিত উপকথার দ্বিতীয় সংস্করণে প্রকাশিত ইন্দিরাকে তৃতীয় সংস্করণ হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে। এই অনুমানের পক্ষে বলা যাইতে পারে যে, ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে মুদ্রিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।