পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ेछ * हैनिघ्नीं § রাধ বেশ, বঁধে কেশ, বকুল ফুলের মালা । রাঙ্গা সাড়া, হাতে হাড়ী, ' রাখছে গোয়ালার বালা ॥ এমন সময়, বাজল বাণী, কদম্বের তলে । কঁাদিয়ে ছেলে, রান্না ফেলে, রাধুনি ছোটে জলে।” মা ধমকাইল, “নে শ্লোক রাখ, ” তখন মেয়ে চুপ করিল। তার পর রমণ বাবু খাইতে বসিলেন । আড়াল হইতে দেখিতে লাগিলাম। দেখিলাম তিনি সমস্ত ব্যঞ্জনগুলি কুড়াইয়া খাইলেন। গৃহিণীর মুখে হাসি ধরে না। রমণ বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ কে রেধেছে ম৷ ” গৃহিণী বলিলেন, “একটি নূতন লোক আসিয়াছে।” রমণ বাবু বলিলেন, “রাধে ভাল।” এই বলিয়া,তিনি হাত ধুইয়া উঠিয়া গেলেন। তার পর কর্তা খাইতে বসিলেন। সেখানে আমি যাইতে পারিলাম না—গৃহিণীর আদেশমত বুড়া বামন ঠাকুরাণী কর্ত্তার ভাত লইয়া গেলেন। এখন বুঝিলাম, গৃহিণীর কোথায় ব্যথা, কেন তিনি সমর্থবয়স্ক স্ত্রীলোক রাখিতে পারেন না। প্রতিজ্ঞ করিলাম, যত দিন এখানে থাকি, সে দিক্‌ মাড়াইব না। - আমি সময়াস্তরে লোকজনের কাছে সংবাদ লইয়াছিলাম, কর্ত্তার কেমন চরিত্র। সকলেই জানিত, তিনি অতি ভদ্র লোক—জিতেন্দ্রিয়। তবে কালির বোতলটার গলায় গলায় কালি। বামন ঠাকুরাণী ফিরিয়া আসিলে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম যে, “কর্ত্তা রান্না খেয়ে কি বললেন ?” বামনী চটিয়া লাল ; চেচাইয়া উঠিয়া বলিল, “ওগো,বেশ রেখেছ গো, বেশ বেঁধেছ। আমরাও রাধিতে জানি ; তা বুড়ে হলে কি আর দর হয় । এখন রাধিতে গেলে রূপ যৌবঙ্গ চাই।” বুৰিলাম, কর্তা খাইয়া ভাল বলিয়াছেন। কিন্তু বামনীকে নিয়া একটু রঙ্গ করিতে সাধ হইল। বলিলাম, “ত রূপ যৌবন চাই বই কি বামন দিদি –বুড়ীকে দেখিলে কার খেতে রোচে "ি - - i.