从秘 নবম পরিচ্ছেদ ঃ পাকাচুলের সুখ দুঃখ 1లీ সঙ্গে একটু ইয়ারকি করি। কিন্তু শেষ কাজটায় একটা বড় গোলে পড়িয়া গেলাম। গৃহিণীর বিশ্বাস র্তার বয়স কাচ, কেবল অদৃষ্টদোষে গাছকতক চুল পাকিয়াছে, তাহ তুলিয়া দিলেই তিনি আবার যুবতী হইতে পারেন। এই জন্ত তিনি লোক পাইলেই এবং অবসর পাইলেই পাক চুল তুলাইতে বসিতেন। এক দিন আমাকে এই কাজে বেগার ধরিলেন। আমি কিছু ক্ষিপ্রহস্ত, শীঘ্র শীঘ্রই ভাদ্র মাসের উলু ক্ষেত সাফ করিতেছিলাম। দূর হইতে দেখিতে পাইয়া মুভাষিণী আমাকে অঙ্গুলির ইঙ্গিতে ডাকিল। আমি গৃহিণীর কাছ হইতে ছুটি লইয়া বধুর কাছে গেলাম। স্বভাষিণী বলিল, “ও কি কাও । আমার শাশুড়ীকে নেড়া মুড়া করিয়া দিতেছ কেন ?” আমি বলিলাম, “ও পাপ একদিনে চুকানই ভাল।” মুভী । তা হলে কি টেকৃতে পারবে ? যাবে কোথায় ? আমি । আমার হাত থামে না যে । সুভ। মরণ আর কি ! দুই একগাছি তুলে চলে আসতে পার মা ! আমি । তোমার শাশুড়ী যে ছাড়ে না । মুভী । বল গে যে, কই, পাকা চুল ত বেশী দেখিতে পাই না—এই বলে চলে ազCHլ | আমি হাসিয়া বলিলাম, “এমন দিনেডাকাতি কি কয় যায় ? লোকে বলবে কি ? এ যে আমার কালার্দীঘির ডাকাতি ।” সুভ। কালাদীঘির ডাকাতি কি ? সুভাষিণীর সঙ্গে কথা কহিতে আমি একটু আত্মবিশ্বন্ত হইতাম—হঠাৎ কালদিঘির কথা অসাবধানে মুখ দিয়া বাহির হইয়াছিল। কথাটা চাপিয়া গেলাম। বলিলাম, “সে গল্প আর একদিন করিব।” সুভা। আমি যা বলিলাম, তা একবার বলিয়াই দেখ না ? আমার অনুরোধে । হাসিতে হাসিতে আমি গিল্পীর কাছে গিয়া আবার পাকা চুল তুলিতে বসিলাম । দুই চারি গাছ তুলিয়া ৰলিলাম, “কৈ আর বড় পাকা দেখিতে পাই না । তুই এক গাছ রহিল, কাল তুলে দিব।” মাগী এক গাল হাসিল। বলিল, “আবার বেটার বলে সব চুলই পাকা ।” সে দিন আমার মাদর বাড়িল। কিন্তু যাহাতে দিন দিন বসিয়া বসিয়া পাক চুল তুলিতে না হয়, সে ব্যবস্থা করিব মনে মনে স্থির করিলাম। বেতনের টাকা পাইয়াছিলাম, 建
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।