দ্বাদশ পরিচ্ছেদ হারাণীর হাসিবন্ধ so আমি আকাশ থেকে পড়িলাম। বলিলাম, “সে কি ? তুমি কেমন ক’রে জানলে ?” স্বভাষিণী মুখ চোখ ঘুরাইয়া বলিল, “আহাঃ, তোমার সোনার চাদ বুঝি আপনি এসে ধরা দিয়েছে ? আমরা যাই আকাশে ফাদ পাততে জানি, তাই তোমার আকাশের টায় ধরে এনে দিয়েছি।” - আমি বলিলাম, “তোমরা কে ? তুমি আর র-বাৰু ?” স্বভা। না ত আবার কে ? তুমি, তোমার স্বামী শ্বশুরের আর তাদের গায়ের নাম বলিয়া দিয়াছিলে, মনে আছে ? তাই শুনিয়াই র-বাবু চিনিতে পারিলেন। তোমার উ-বাবুর একটা বড় মোকদ্দমা তার হাতে ছিল—তারই ছল করিয়া তোমার উ-বাবুকে কলিকাতায় আসিতে লিখিলেন । তার পর নিমন্ত্রণ। আমি । তার পর হাত পাতিয়া বুড়ীর দালটুকু নেওয়া । সুভ । হা, সেটাও আমাদের যড়যন্ত্র । আমি । তা, আমার পরিচয় কিছু দেওয়া হয়েছে কি ? - সুভা । আ সর্ব্বনাশ ! তা কি দেওয়া যায় ? তোমাকে ডাকাতে কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল, তার পর কোথায় গিয়েছিলে, কি বৃত্তান্ত, তা কে জানে ? তোমার পরিচয় পেলে কি ঘরে নেবে ? বলবে একটা গতিয়ে দিচ্চে। র-বাবু বলেন, এখন তুমি নিজে যা করিতে পার । আমি। আমি একবার কপাল ঠুকিয় দেখিব—ন হয় ডুবিয়া মরিব। কিন্তু আমার সঙ্গে দেখা ন হইলে, কি করিব ? স্বভা। কখন দেখা করবে, কোথায় বা দেখা করবে ? আমি । তোমরা যদি এত করিয়াছ, তবে এ বিষয়েও একটু সাহায্য কর। উায় বাসায় গেলে দেখা হইবে না,—কেই বা আমাকে নিয়ে যাবে, কেই বা দেখা করাইবে ? এইখানেই দেখা করিতে হইবে । সুভ। কখন ? याभि । ब्रांट्स, नयाँझे सईटश । 尊 সুভ। অভিসারিকে ? আমি । তা বৈ আর গতি কি ? দোষই বা কি-স্বামী যে । মুক্ত। না, দোষ নাই। কিন্তু তাহ হইলে তাকে রাত্রে আটকাইতে হয়। নিকটে র্তার বাসা ; তা ঘটিৰে কি ? দেখি একবার র-বাবুর সঙ্গে পরামর্শ করে।
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।