আমাকে একজামিন দিতে হইল সন্ধ্যার পর আমার স্বামী কাগজপত্র লইয়া রমণ বাবুর কাছে আসিলেন। সংবাদ পাইয়া, আমি আর একবার হারাণীর হাতে পায়ে ধরিলাম। হারাণী সেই কথাই বলে, “বৌদিদি যদি বারণ না করে, তবে পারি। তবে জানিব, এতে দোষ নেই।” আমি বলিলাম, “যাহা হয় কর্—আমার বড় জ্বাল৷ ” এই ইঙ্গিত পাইয়া হারাণী একটু হাসিতে হাসিতে সুভাষিণীর কাছে ছুটিল। আমি তাহার প্রতীক্ষা করিতে লাগিলাম। দেখিলাম যে, সে হাসির ফোয়ারা খুলিয়া দিয়া, আলু থালু কেশ বেশ সামলাইতে সামলাইতে, হাপাইতে স্থাপাইতে,ছুটিয়া আসিল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “কি গো, এত হাসি কেন ?” হারাণী। দিদি, এমন জায়গায়ও মানুষকে পাঠায় ? প্রাণটা গিয়াছিল আর কি ! আমি। কেন গো ! হারা। আমি জানি বৌদিদির ঘরে বাট থাকে না, দরকারমত বঁটা লইয়া গিয়া আমরা ঘর ঝাটাইয়া আসি। আজ দেখি যে, বৌদিদির হাতের কাছেই কে বাট রাখিয়া আসিয়াছে। আমি যেমন গিয়া বলিলাম, “তা যাব কি ?” অমনি বৌদিদি সেই কাটা লইয়া আমাকে তাড়াইয়া মারিতে আসিল। ভাগ্যিস পালাতে জানি, তাই পালিয়ে বঁচিলেম। নহিলে খেঙ্গরা খেয়ে প্রাণটা গিয়েছিল আর কি ? তবু এক ঘা বুঝি পিঠে পড়েছে ;–দেখ দেখি দাগ হয়েছে কি না ?” হারাণী হাসিতে হাসিতে আমাকে পিঠ দেখাইল। মিছে কথা—দাগ ছিল না । তখন সে বলিল, “এখন কি করতে হবে বল—ক’রে আসি ” আমি। র্যাটা খেয়ে যাবি ? হারাণী। কাটা মেরেছে—বারণ ত করে নি। আমি বলেছিলাম, বারণ না
- করে ত যাব।
আমি। কাটা কি বারণ না ? হারাণী। হা, দেখ দিদিমণি, বৌদিদি যখন কাটা তোলে, তখন তার ঠোঁটের কোণে একটু হাসি দেখেছিলাম। তা কি করতে হবে, বল। ག