હન *नःि । উাহার দশা দেখিয়া আমার ছখও হইল। বলিলাম, তবে তোমার বাসায় চল—এখানে থাকিলে তুমি আমায় ত্যাগ করিয়া যাইবে।” তিনি তৎক্ষণাৎ সন্মত হইলেন। র্তাহার বাসা সিমলায়, অল্প দূর। র্তার গাড়াও হাজির ছিল, এবং দ্বারবানের নিত্রিত। আমরা নিঃশব্দে দ্বার খুলিয়া গাড়ীতে গিয় উঠিলাম। তার বাসায় গিয়া দেখিলাম, দুই মহল বাড়ী। একটি ঘরে আমি অগ্রে প্রবেশ করিলাম। প্রবেশ করিয়াই ভিতর হইতে দ্বার রুদ্ধ করিলাম। স্বামী বাহিরে পড়িয়া রহিলেন। তিনি বাহির হইতে কাতরোক্তি করিতে লাগিলেন। আমি হাসিতে হাসিতে বসিলাম, “আমি এখন তোমারই দাসী হইলাম। কিন্তু দেখি তোমার প্রণয়ের বেগ কাল প্রাতঃকাল পর্য্যন্ত থাকে না থাকে। যদি কালও এমনি ভালবাসা দেখিতে পাই, তখন তোমার সঙ্গে আবার আলাপ করিব। আজ এই পর্য্যন্ত ।” আমি দ্বার খুলিলাম না ; অগত্য তিনি অন্যত্র গিয়া বিশ্রাম করিলেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের অসহ সস্তাপে, দারুণ তৃষাপীড়িত রোগীকে স্বচ্ছ শীতল জলাশয়তীরে বসাইয়া দিয়া, মুখ বাধিয়া দাও, যেন সে জলপান করিতে না পারে—বল দেখি, তার জলে ভালবাসা বাড়িবে কি না ? অনেক বেলা হইলে দ্বার খুলিলাম, দেখিলাম, স্বামী দ্বারে আসিয়া দাড়াইয়া আছেন। আমি আপনার করে তাহার করগ্রহণ করিয়া বলিলাম, “প্রাণনাথ, হয় আমাকে রামরাম দত্তের বাড়ী পাঠাইয়া দাও, নচেৎ অষ্টাহ আমার সঙ্গে আলাপ করিও না। এই অষ্টাহ তোমার পরীক্ষা । তিনি অষ্টাহ পরীক্ষা স্বীকার করিলেন। ষোড়শ পরিচ্ছেদ খন করিয়া ফালি গেলাম। পুরুষকে দগ্ধ করিবার যে কোন উপায় বিধাতা স্ত্রীলোককে দিয়াছেন, সেই সকল উপায়ই অবলম্বন করিয়া আমি অষ্টাহ স্বামীকে জালাতন করিলাম। আমি স্ত্রীলোককেমন করিয়া মুখ ফুটিয়া সে সকল কথা বলিৰ । আমি যদি আগুন জালিতে না জানিতাম, তবে গত রাত্রিতে এত জ্বলিত না। কিন্তু কি প্রকারে আগুন জালিলাম—কি প্রকারে
اسم الص