ষোড়শ পরিচ্ছেদ ; খুন করিয়া ফালি গেলাম ఆది তাহারই সোহাগে, আমি সোহাগিনী, রূপসী তাহারই রূপে। তার পর এই আগুনের ছড়াছড়ি। আমি হাসিতে জানি, হাসির কি উতোর নাই ? আমি চাহিতে জানি, চাহনির কি পালটা চাহনি নাই ? আমার অধরোষ্ঠ দূর হইতে চুম্বনাকাঙ্কায় ফুলিয়া থাকে, ফুলের কুঁড়ি পাপড়ি খুলিয়া ফুটিয়া থাকে, তাহার প্রফুল্লরক্তপুষ্পতুল্য কোমল অধরোষ্ঠ কি তেমনি করিয়া, ফুটিয়া উঠিয়া, পাপড়ি খুলিয়া আমার দিকে ফিরিতে জানে না ? আমি যদি তার হাসিতে, তার চাহনিতে, তার চুম্বনাকাজার, এতটুকু ইন্দ্রিয়াকাঙ্ক্ষার লক্ষণ দেখিতাম, তবে আমিই জয়ী হইতাম। তাঁহা নহে। সে হাসি, সে চাহনি, সে অধরোষ্ঠবিস্ফুরণে, কেবল স্নেহ—অপরিমিত ভালবাস। কাজেই আমিই হারিলাম। হারিয়া স্বীকার করিলাম যে, ইহাই পৃথিবীর ষোল আন মুখ। যে দেবতা, ইহার সঙ্গে দেহের সম্বন্ধ ঘটাইয়াছে, তাহার নিজের দেহ যে ছাই হইয়া গিয়াছে, খুব হইয়াছে। পরীক্ষার কাল পূর্ণ হইয়া আসিল, কিন্তু আমি তাহার ভালবাসার এমনই অধীন হইয়া পড়িয়ছিলাম যে, মনে মনে স্থির করিয়াছিলাম যে, পরীক্ষার কাল অতীত হইলে তিনি আমাকে মারিয়া তাড়াইয়া দিলেও যাইব না। পরিণামে যদি তিনি আমার পরিচয় পাইয়াও যদি আমাকে স্ত্রী বলিয়৷ গ্রহণ না করেন, গণিকার মতও যদি তাহার কাছে থাকিতে হয়, তাহাও থাকিব, স্বামীকে পাইলে, লোকলজ্জাকে ভয় করিব না । কিন্তু যদি কপালে তাও না ঘটে, এই ভয়ে অবসর পাইলেই কাদিতে বসিতাম। কিন্তু ইহাও বুঝিয়াছিলাম যে, প্রাণনাথের পক্ষচ্ছেদ হইয়াছে। আর উড়িষার শক্তি নাই। তাহার অনুরাগানলে অপরিমিত ঘৃতাহুতি পড়িতেছিল। তিনি এখন অনন্তকর্ম্ম৷ হইয়া কেবল আমার মুখপানে চাহিয়া থাকিতেন। আমি গৃহকর্ম্ম করিতাম—তিনি ৰালকের মত আমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়াইতেন। তাহার চিত্তের তুর্দ্দমনীয় বেগ্ন প্রতিপদে দেখিতে পাইতাম, অথচ আমার ইঙ্গিতমাত্রে স্থির হইতেন। কখন কখন আমার চরণস্পর্শ করিয়া রোঙ্গন করিতেন, বলিজেন, “আমি এ অষ্টাহ তোমার কথা পালন করিষ—তুমি আমার ত্যাগ করিয়া যাইও না।” ফলে আমি দেখিলাম যে, আমি তাহাকে ত্যাগ করিলে র্তাহার দশ বড় মন হইৰে । পরীক্ষা কাসিয়া গেল। অষ্টাহ অতীত হইলে, বিনা ৰাক্যৰায়ে উভয়ে উভয়ের च्यथैौन श्हेजांभ । फिनि श्राभाग्न डूनले बलिग्ना बनिएणन । उोशल नझ कब्रिलाभ । क्छि আমি যাই হই, হাতীর পায়ে শিকল পরাইয়াছি, ইহা বুঝিলাম।
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।