• ऐकिङ्गाँ কাজেই জামায়ও একটু রঙ্গ চাইতে ইচ্ছা হইল। জামি বলিঙ্গাম, ৰায় গারে পড়িয়া যমুন রাত্রিদিন তরঙ্গভঙ্গ করে, বৃন্দাবনে তাকে পুলিন বলে।” আবার তরঙ্গভঙ্গে সর্ব্বনাশ করিল,—যমুনা দিদি ত কিছু বুলি না, রাগিয়া বলিল, “তোর তরঙ্গ ফরঙ্গকেও চিনি নে, তোর পুলিনকেও চিনি নে, তোর বেনাৰনকে চিনি নে । তুই বুঝি ডাকাতের কাছে এত সব রঙ্গরসের সাম শিখে এসেছিস্ ?” মজলিসের ভিতর রঙ্গময়ী বলিয়৷ আমার একজন সমবয়স্ক ছিল। সে বলিল, “অত ক্ষেপ কেন যমুম দিদি । পুলিন বলে নদীর ধারের চড়াকে । তোমার দুধারে কি চড়া আছে ?” চঞ্চল নামে যমুনা দিদির ভাইজ, ঘোমটা দিয়া পিছনে বসিয়াছিল, সে ঘোমটার ভিতর হইতে মৃত্ন মধুর স্বরে বলিল, “চড়া থাকিলেও, বাচিতাম। একটু ফরসা কিছু দেখিতে পাইতাম। এখন কেবল কালো জলের কালিন্দী কল্কল করিতেছে।” কামিনী ৰলিল, “আমার যমুনা দিদিকে কেন তোরা অমন ক’রে চড়ার মাঝখানে ফেলে দিতেছিস্ ” g চঞ্চল। বলিল, “বালাই । ষাটু । ঠাকুরবিকে চড়ার মাঝখানে ফেলে দেব কেন ? ওঁর ভাইয়ের পায়ে ধ'রে বলব, যেন ঠাকুরক্রিকে মেঠে শ্মশানে দেন।” রঙ্গময়ী বলিল, দুটোতে তফাৎ কি বোঁ ?” চঞ্চল। বলিল, “শ্মশানে শিয়াল কুকুরের উপকার –চড়ায় গোরু মহিষ চরে— তাদের কি উপকার ?” মহিষ কথাটা বলিবার সময়ে, বৌ একবার ঘোমটা তুলিয়া ননদের । উপর সহাস্তে কটাক্ষ করিল। ৰমুম বলিল, “নে, আর এক-শ বার সেই কথা ভাল লাগে না। যাদের মোষ ভাল লাগে, তারাই এক-শ ৰায় মোক মোষ করুক গে।” পিয়ারী ঠানদিদি কথাটায় বড় কান দেন নাই—তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “মোষের কথা কি গা ?” কামিনী বলিল, “কোন দেশে তেলিদের বাড়ী মোষে ঘানি টানে, সেই কথা হচ্ছে।” এই বলিয়া কামিনী পলাইল । বীর বার সেই তেলি কথাটা মনে করিয়! দেওয়াট। ভাল হয় মাই—কিন্তু কামিনী কুচরিত্র লোক দেখিতে পারিত না । পিয়ারী ঠান্দিদি, রাশ্নে অন্ধকার দেখিয়া আর কথা না কহিয়া উ-বাৰুর কাছে গিয়া বলিল। আমি তখন কামিনীকে ডাকিয়া বলিলাম, “কামিনী । দেখসে আয় লে। । এইবার পিয়ারী কৃষ্ণ পেয়েছেন।"
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।