ধিক করিয়া বিষ ঢালিয়া না দিব কেন? বোধ হয় “প্রাণনাথ” আহত হইয়া বাহিরে গেলেন।
হারাণী নামে রামরাম দত্তের একজন পরিচারিকা ছিল। আমার সঙ্গে তাহার বড় ভাব—সেও দাসী, আমিও দাসী—না হইবে কেন? আমি তাহাকে বলিলাম, “ঝি, আমার জন্মের শোধ একবার উপকার কর। বাবুটি কখন যাইবেন, আমাকে শীঘ্র খবর আনিয়া দে।”
হারাণী মৃদু হাসিল। বলিল, “ছি! দিদি ঠাকুরুন! তোমার এ রোগ আছে, তা জানিতাম না।”
আমিও হাসিলাম। বলিলাম, “মানুষের সকল দিন। সমান যায় না। এখন তুই গুরুমহাশয় গিরি রাখ——আমার এ উপকার করবি কি না বল্।”
হারাণী বলিল,“তোমার জন্য একাজ আমি করিব কিন্তু আর কারও জন্য হইলে করিতাম না।”
হারাণীর নীতি শিক্ষা এই রূপ।
হারাণী স্বীকৃত হইয়া গেল, কিন্তু ফিরিয়া আসিতে বিলম্ব হইতে লাগিল। ততক্ষণ আমি কাটা মাছের মত ছট্ফট্ করিতে লাগিলাম। চারি দণ্ড পরে হারাণী ফিরিয়া আসিয়া হাসিতে হাসিতে কহিল,“বাবুর অসুখ