সমবয়স্কাদিগের ব্যঙ্গের জ্বালায় সন্ধ্যার পর অন্তঃপুরে জল খাইতে আসিলেন।
তিনি জলযোগ করিতে আসনে বসিলেন। কেহ তাঁহার নিকটে দাঁড়াইল না—সকলেই সরিয়া গেল। তিনি অন্য মনে, মুখ নত করিয়া, আহার করিতেছিলেন, এমত সময়ে আমি নিঃশব্দে তাঁহার পশ্চাতে আসিয়া দাঁড়াইয়া তাঁহার চক্ষু টিপিয়া ধরিলাম। তিনি হাসিতে২ বলিলেন,
“হাঁ দেখ্, কামিনি, তুই আরও কি কচি খুকী যে আমার ঘাড়ের উপর পড়িস্?”
কামিনী আমার কনিষ্ঠা ভগিনীর নাম।
আমি বলিলাম, “আমি কামিনী নই, কে বল, তবে ছাড়িব।”
আমার কণ্ঠ-স্বর শুনিয়া তিনি চমকিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “এ কি এ?”
আমি তাঁহার চক্ষু ছাড়িয়া সম্মুখে দাঁড়াইলাম। বলিলাম, “চতুর চূড়ামণি! আমার নাম ইন্দিরা—আমি হরমোহন দত্তের কন্যা, এই বাড়ীতে থাকি। আপনাকে প্রাতঃপ্রণাম —আপনার কুমুদিনীর মঙ্গল ত?”
তিনি অবাক্ হইলেন। আমাকে দেখিয়াই যে তাঁহার আহ্লাদ হইল, তাহা বুঝিতে পারিলাম। বলিলেন, “এ