পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুপ্রভা নাটক । \OS এতে আমার শরীর যেন দগ্ধ হচে । ( চিন্তা করিয়া ) হায় ! দেখ, আমার আপন আপনিই কত দূর মতিভ্রম উপস্থিত হচ্চে। আপনার কর কমল দেখে পদ্মভেবে আপনিই জর্জরিত হচিচ ; দশ নখ যেন দশচন্দ্র হয়ে আমাকে যাতনা দিচে ; অলঙ্কারের শব্দে আলির গুণ গুণ স্বর মনে কর্যে প্রাণ আকুল হয়ে উঠছে । ( গবাক্ষ খুলিয়া ) এই যে চন্দ্র উদয় হয়েছে। কিন্তু চন্দ্রের কিরণেও ত স্থর্য্যের মতন উত্তাপ রয়েছে ; এতে আমার শরীর যেন আরো দগ্ধ হতে নাগলো । হে দেব সুধাকর ! আপনি সুধা বর্ষণে জগতের হিত সাধন করেন ; তবে এ অনাথিনীকে এরূপ কষ্ট দিচেচন কেন ? অমরকুলে জন্মগ্রহণ কর্যে যদি আপনি নারী বধে প্রবৃত্ত হন, তা হলে আপনার কলঙ্ক হবার সম্ভাবনা । তাও বটে, আপনি না কি নিজে কলঙ্কী, তা আপনার কলঙ্কের ভয় থাকবে কেন ? সেই যুবরাজকে জীবন, যৌবন, মন, সমর্পণ করেছি বলে আপনি বোধ হয় প্রতিহিংসা সাধনের জন্যে আমাকে এরূপ কষ্ট দিচ্চেন । ( চিন্তা করিয়া ) না—চন্দ্রের কিরণের উত্তাপ থাকবে কেন ? তবে কি দিনমণি ?—তাই বা কেমন কর্যে হবে ? দিনমণি ত এই মাত্র কমলিনীকে বিষাদিত কর্যে অস্তগত হয়েছেন । এ কি দাবানল ?—তা শূন্যমাগে দাবানল প্রজ্বলিত হবার সম্ভাবনা কি ? বোধ হয় রজনী দেবী সপোর বেশ ধরে আমি বিরহিণী বলে আমাকে ংশন কত্তে আসছেন ; তারই মাথার মণিতে চতুর্দিক আলো হয়ে রয়েছে । ( চিন্তা করিয়া ) না—এখানে মনটা বড় অস্থির হয়ে উঠলো। যাই একবার সঙ্গীত শালায় যাই । [ প্রস্থান ।