পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুপ্রভ নাটক । , సె{ ( প্রকাশে ) মহারাজ, আপনাকে এরূপ ব্যাকুল দেখে রাজলক্ষনী যে কি পর্য্যন্ত কাতর হয়েছেন, তা বলা যায় না । এক্ষণে আপনি একটু শোকসম্বরণ কল্পে সকলেই পরমসুখী হয়। রাজা । বসন্তক, এরূপ দুঃসহ শোক দমন করা কি মনুষ্যের সাধ্য ? আমি কি এরূপ কৃতঘ্ন নরাধম যে প্রিয়ার সে অকৃত্রিম প্রণয় বিস্মৃত হব ! আহা ! তার সে মনোহারিণী মূর্তি, মধুর সম্ভাষণ দিবারাত্র আমার মনে উদয় হচ্চে । ( উঠিয়া ) অতিশয় সস্তুপ্ত হলে লোহও দ্রব হয়, কিন্তু অণমি এরূপ নিষ্ঠুর পশষও যে এ দাৰুণ শোকাগ্নি অনায়াসে সহ্য কচি ৷ সময়ে প্রস্তরও বিদীর্ণ হয়, তা আমার এ হৃদয় কি প্রস্তর অপেক্ষাও কঠিন ? ( পরিক্রমণ । ) মন্ত্রী । দেব, এরূপ প্রবল চিন্তাগ্নি যদি দিবারাত্র অগপনার শরীর দগ্ধ করে, তা হলে আমাদের কি পর্য্যন্ত না বিপদ ঘটবার সত্তাবনা । -- রাজা । মন্ত্রি, যাকে এরূপ বিরহ দিবারাত্র সহ কত্তে হচেচ, সে কি কখন স্থির হতে পারে ? হায় ! এ বিরহে এখনও আমার দেহ হতে প্রাণ বহির্গত হলনা ? সময়ে কি শমনও একবারে বিস্মৃত হয়েছে ? আর মৃত্যু হলেই বা কি হবে । অবশেষে এক জন কুলাঙ্গারের মধ্যে পরিগণিত হব বৈত নয় ! বস । মহারাজ, জগদীশ্বর কৰুন যেন এ রাজপুরীতে শমন প্রবেশ কত্তে না পারে । রাজা । ( মুক্তকণ্ঠে ) হা রাজকুললক্ষিম! তুমি যে কোন সমুদ্র মধ্যে বাস কচ্চো, তা আমাকে কেউ বলতে পারে না ? হে দেবর্ষি নারদ ! এক্ষণে আপনার ন্যায় উপকারী ব্যক্তি কি