পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
ইন্দুমতী।

তখন ভাবিল রাধা যা থাকে কপালে
বলিব তাঁহারে আমি হৃদয়ের কথা;
উৎসর্গ করিব প্রাণ চরণে তাঁহার,
পারিনা সহিতে তার এ দারুণ ব্যথা।

কেমনে বলেন তিনি এই সব কথা
নির্ম্মল চরিত্র এই সরল যুবাকে?
বলি বলি করি গেল কিছু দিন চ’লে
হৃদয়ে রহিল কথা ফুটিল না মুখে।

একদা নিশীথে যবে সুপ্ত চরাচর
পুরজন সবে ঘোর নিদ্রায় মগন;
সাহসে করিয়া ভর ধীরে,অতি ধীরে,
দেবব্রত কক্ষে রাধা করিল গমন।

সূচিভেদ্য অন্ধকার নীরব সকল,
বুঝিয়া নিদ্রিত তিনি, রুদ্ধ করি দ্বাব
অনুভবে গেল রাধা অন্ধকার দিয়া
গৃহ-গাত্রে ছিল যেথা তড়িত আধার।

খুলিল বিজলী আলো উজলিল ঘর,
দেখিল তাঁহাকে সুখে পালঙ্কে নিদ্রিত;
কি সুন্দর মুখ আহা কি সুঠাম দেহ,
সুবর্ণ নিম্মিত মূর্ত্তি রয়েছে শায়িত।