পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
ইন্দুমতী।

যেন তীব্র তিরস্কারে সরায়ে তা’দের দূরে
সাগর উদ্দেশে ধায় আকুল হইয়া।
সুনীল গগন গায় বিরাট বিশাল কায়
অনন্ত পর্ব্বত শ্রেণী গিয়াছে মিশিয়া,
যেন স্বর্গ দুর্গদ্বারে পরিখার ধারে ধারে
প্রাকার উন্নত শির রয়েছে তুলিয়া।
ইহাদের তুলনায় কতক্ষুদ্র এ ধরায়
মানব আমরা হই নাহি সীমা তা’র,
কণামাত্র জ্ঞান পেয়ে ভাবি আমাদের চেয়ে
কেবা বড় আছে এই সংসারেতে আর।


একদিন সন্ধ্যাকালে চাহি ব্রহ্মকুণ্ড জলে
নগেন্দ্র ও পঙ্কজিনী সাথে ইন্দুমতী,
ব্রহ্মকুণ্ড ঘাটে এসে চিন্তাপূর্ণ নেত্রে বসে
দেখিতে ছিলেন সবে গঙ্গার আরতি।
অনন্ত সলিল রাশি কল কলে যায় ভাসি,
কুণ্ডেতে অসংখ্য মৎস্য করে বিচরণ,
পরপারে যায় দেখা চিত্রেতে চিত্রিত যথা,
অনন্ত পর্ব্বত শ্রেণী নিবিড় কানন।
পূরব গগন গায় চন্দ্রমা উঠেছে তায়
জোছনা করেছে আলো জগতের প্রাণ,