পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ পরিচ্ছেদ। সূর্য্যগ্রহণ। “প্রেমের প্রতিমে স্নেহের সাগর করুণা নিঝর দয়ার নদী । হ’লে মরুময় সব চরাচর, না থাকিতে তুমি জগতে যদি ” নারীবন্দন । পঞ্জিকায় এবার অনেক দিনের পরে সূর্য্যগ্রহণ লিখিয়াছে । বড় যোগ , গঙ্গাস্নানে দ্বাদশ জন্মের পাপ ক্ষয় হয়। দেশ বিদেশ হইতে দলে দলে লোক গঙ্গাস্বানে চলিয়াছে। যাহারা ভাগ্যবান অর্থ সমর্থ বেণী তাহার কাশী যাইতেছেন ; মধ্যবিতের কলিকাতা বা তন্নিকটবর্ত্তী স্থানের গঙ্গাস্নান করিয়াই স্বর্গের পথ .qলল করি। রাখিবার উদ্দেশে কলিকাত অভিমুখে চলিয়াছেন । যাত্রীর ভিড়ে পথ চলা যায় না ; চটীতে মাথা গুন্তি ভাড়া gইয়াছে। যাত্রীর আর পূর্ব্বের ন্যায় দুই পয়সায় হাড়ি কাঠ পাই তেছে না। শিয়ালদহ ষ্টেসন পূর্ববঙ্গের কোমলাঙ্গী গণের কোলহল আর হলুদমাধা কাপড়ের গন্ধে ভদ্রলোকের অগম্যস্থান হইয়। উঠিয়াছে। যে ভদ্রলোক নেহাত গরজে পড়িয়া অতি সতর্ক eাৰে যাইতেছেন, তাহাকেও ছ দশটা গাটরীর ধাক্কা থাইতে হইতেছে। গঙ্গার পশ্চিম-ঘাটাল, নিমতলা, পোল, পাতুল, খানা