পাতা:ইয়ুরোপে তিন বৎসর.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় অধ্যায়।

লণ্ডন নগর; ১৮৬৮ সালের এপ্রেল হইতে ১৮৬৯ সালের জুলাই পর্য্যন্ত।

 ৯ই জুন দিবাভাগে লণ্ডন নগরের কিয়দ্দূরে সিডেনহেম প্রদেশের বিখ্যাত কাচের প্রাসাদ সন্দর্শন করিতে গিয়াছিলাম। উহা অতি বৃহৎ প্রকাণ্ড অট্টালিকা, পাতলা লৌহখণ্ডের গরাদিয়া দ্বারা সংযুক্ত চিক্কণ কাচখণ্ডে নির্ম্মিত। মধ্যদেশে একটা একাণ্ড খিলান ও তাহার উভয় পার্শ্বে দুইটা দালান আছে। সূর্য্যকিরণে যখন উহা ঝক্‌মক্ করিতে থাকে, তখন উহার দর্শন অতি চমৎকার। উক্ত প্রাসাদের বাহিরে সুন্দর উপবন, দুর্ব্বাদল আচ্ছাদিত ক্ষেত্র, প্রস্তরখণ্ড-বিনির্ম্মিত পদবী, ও জ্যামিতির আকারের ন্যায় অতি সুন্দররূপে নির্ম্মিত ফুলের চৌকা আছে। জলস্তম্ভ সমুদয় সূর্যকিরণে খেলা ও ঝক্‌মক্ করিতেছে, নরহস্ত-খাদিত সরসী-জলে পক্ষী সকল সন্তরণ করিতেছে, সুদর্শন বনমধ্যে শীতল ও নিভৃত পদবী সমস্ত বিরাজ করিতেছে, সুগঠন প্রস্তর-মূর্ত্তি সকল ইতস্ততঃ শোভা করিতেছে। ফলতঃ যে যে দ্রব্য কল্পনাশক্তি কি শিল্পবিদ্যা দ্বারা সৃজিত হইতে পারে, তৎসমুদয়ই এই স্থানের শোভা বৃদ্ধি করিতেছে। সতেজ লতা সমুদয় এই প্রাসাদের কাচময় প্রাচীরে উঠিয়াছে। অভ্যন্তরের যে দর্শন, তাহা আরো চমৎকার। উহার এক পার্শ্ব হইতে অপর পার্শ্ব পর্য্যন্ত একটা সুদীর্ঘ পথ আছে, শ্রেণীবদ্ধ প্রস্তুর-মূর্ত্তি