হইলাম। এ স্থানের এত অধিক সৌন্দর্য্য যে তাহা বর্ণনা করিতে বর্ণনাশক্তি পরাভব মানে। বহু দূরে ধূসরবর্ণ শৈলশ্রেণী আমাদিগের নয়ন-পথ অবরোধ করিল। এখান হইতে, এডামস্ পীক দেখা যায়। উহার কিয়দ্দূরে তরঙ্গমালার ন্যায় উচ্চ ও নীচ বৃক্ষশ্রেণী অবিচ্ছেদে বিরাজ করিতেছে, সন্নিকটে কতই ক্ষেত্র ও পরিষ্কার পথ আছে এবং ক্ষুদ্র নদী ও খাল সর্পের ন্যায় বক্রভাবে ক্ষেত্র দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। বিদেশীয় লোক এখানে আসিলে দেশীয়গণ নানাবিধ সামগ্রী বিক্রয়ার্থ আনয়ন করে—যথা অঙ্গুরী, দারুচিনি ইত্যাদি। তাহারা ক্রেতাদিগকে ঠগাইবার বিস্তর চেষ্টা করে। আমি এক উদাহরণ দিতেছি—আমার এক বন্ধু একটা অঙ্গুরীয় ক্রয় করিয়াছিলেন এবং আমার যতদূর স্মরণ হয়, বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে এইরূপ কথোপকথন হইয়াছিল—
সিংহলী। মহাশয়, অঙ্গুরী চাই, অঙ্গুরী; লঙ্কার হীরা, সোণা, মহাশয়?
বন্ধু। না, আমরা চাহি না।
সিংহলী। লঙ্কার হীরা, মহাশয়, লন না মহাশয়; একবার হাতে দিয়া কেন দেখুন না মহাশয়?
বন্ধু। আচ্ছা, দাম কি?
সিংহলী। ত্রিশ টাকা।
বন্ধু। আমি লইব না।
সিংহলী। আচ্ছা আপনি কি দিবেন, বলুন না কত টাকা দিবেন, বলুন, মহাশয়?
বন্ধু। আমি লইব না।