পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট আছে । যাহার বাস্তবিক সত্ত। কোন কালে ছিল না তাহার নকল করা চলে না । যাহ। আপনার কোন কালে কখনও উপলব্ধি করেন নাই, তাহার কখনই অনুকরণ করিতে পারেন না । সুতরাং ইহা অনায়াসেই অনুমান করা যাইতে পারে যে, বাইবেলের বর্ণনা অতিরঞ্জিত স্বীকার করিলেও, ইহা ও স্বীকার করিতে হয় যে, ঐ কল্পনারও অবশুই কিছু ভিত্তি ছিল,—নিশ্চিত সেই সময়ে জগতে এক মহাশক্তির আবির্ভাব হইয়াছিল—আধ্যাত্মিক শক্তির এক অপূৰ্ব্ব বিকাশ হইয়াছিল— এবং সেই মহ আধ্যাত্মিক শক্তি সম্বন্ধেই অন্ত আমরা কিঞ্চিৎ আলোচনা করিতেছি । ঐ মহাশক্তির অস্তিত্ব সম্বন্ধে যখন আমাদের কিঞ্চিম্মাত্রও সন্দেহ নাই, তখন আমাদের পণ্ডিতকুলের সমালোচনায় ভয় পাইবাব কোন কারণ নাই। যদি প্রাচ্যদেশীয়দের ন্যায় আমাকে এই নাজাবেথবাসী যীশুর উপাসনা করিতে হয়, তবে একটিমাত্র ভাবেই আমি তাহার উপাসনা করিতে পারিব, অর্থাৎ আমায় তাহাকে ঈশ্বর বলিয়াই উপাসনা করিতে হইবে, অন্য কোনরূপে আমার তাহাকে উপাসনা করিবার উপায় নাই। আপনার কি বলিতে চান, আমাদের তাহাকে উপাসনা করিবার অধিকার নাই ? যদি আমরা তাহাকে আমাদের সমান ভূমিতে টানিয়া আনিয় তাহাকে কেবল একজন মহাপুরুষমাত্র বলিয়। একটু সম্মান দেথাই, তবে আর আমাদের তাহাকে উপাসনা করিবারই বা প্রয়োজন কি ? আমাদের শাস্ত্র বলেন,-“এই জ্যোতির তনয়গণ, যাহাদের ভিতর দিয়৷ সেই ব্ৰহ্ম-জ্যোতিঃ প্রকাশিত হয়, যাহার। স্বয়ং সেই জ্যোতিঃস্বরূপ, তাহার উপাসিত হইলে যেন আমাদের সহিত > ア