পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত VL) দের পিতা পিতামহেরা এই পৰ্ব্বত্তে উপাসনা করিডেন, কিন্তু আপনার বলেন জেরুশালমই উপাসনার স্থান” । যিশু বলিলেন, “হে নারী, আমার কথায় তুমি বিশ্বাস কর । সময় জালিতেছে যখন এ উভয়ের কোন স্থানেই তোমরা পিতার উপাসনা করিবে না। উপাসনা কাহাকে বলে তাহা তোমরা জান না, আমরা জানি । সময় আসিতেছে এবং আসিয়াছে যখন যথার্থ উপাসকের পিতা পরমেশ্বরকে আত্মাতে এবং সত্যেভে পূজা করিবে, কারণ তিনি এইরূপ ইচ্ছা করেন। ঈশ্বর চিৎস্বরূপ, অতএব যে ডাহাকে উপাসনা করিতে চায় সে আত্মাতে এবং সত্যেতে উপাসনা করিবে ।” প্রকৃত ব্রহ্মোপাসনা কোন স্থানবিশেষে বদ্ধ নহে, মানবাত্মাই তাহার মন্দির । বাস্থ পূজার প্রতিকূলে এই আধ্যাত্মিক উপাসনাতত্ত্ব এখানে ব্যাখ্যাত হইল। সংক্ষেপে এরূপ निशू উপাসনাতত্ত্ব আর কেহ বলিতে পারে না । ধৰ্ম্মের মূল কথা, সার উপদেশ ইহার ভিতর নিহিড আছে। r এমন সময় শিষ্যেরা এই দৃশ্য দর্শন করত বিস্ময়াপন্ন হইল। কিন্তু তিনি কি জন্য স্ত্রীলোকের সহিত এক বাক্যালাপ করিতেছিলেন তাহ কেঙ্ক জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না। স্ত্রীলোক স্বস্থানে চলিয়া গেলে শিষ্যেরা বলিল “প্রভু, ভোজম করুন।” যিশু ভাবে বিভোর হইয়। বলিলেন, “আমার এক খাদ্য সামগ্ৰী আছে তাহা তোমরা জান না।" সকলে মনে করিল, তবে কি কেহ কোন খাদ্য সামগ্ৰী দিয়া গিয়াছে ? প্রভু পুনরায় বলিলেন, “আমার প্রেরয়িতার ইচ্ছা পালন এবং কার্ষ্য সম্পাদন করাই আমার খাদ্য। তোমরা না বলিয়া থাক, শস্য প্রস্তুত হইতে এখনও চারি মাস বাকী আছে ? ক্ষেত্রের দিকে অবলোকন কর, উহা সুপক্ক শস্যমঞ্জরীতে কেমন শুভ্রবর্ণ হইয়াছে। ষে উহা কৰ্ত্তন করিযে, সে বেতন পাইবে এবং অনন্তজীবন ফলসংগ্ৰহ করিবে। তখন বপনকারী ও কর্তনকারী উভয়ে মিলিয়। আনন্দ সম্ভোগ করিবে । এক জন বপন করে, আর এক জন শস্য কৰ্ত্তন করে, সেই কথা এ স্থলে সত্য হইল। যেখানে তোমরা কোন পরিশ্রম ফর নাই সেই খানে আমি তোমাদিগকে ফলসংগ্রহের জন্য পাঠাইতেছি । অন্যেরা পরিশ্রম করিয়া গিয়াছে, তোমরা এক্ষণে তাহার ফল ভোগ করিতে চলিলে।” পুৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব মহাজনগণের পরিশ্রমজাত ফল পরবংশীয়গণ অনায়াসে