ঈশাচরিতামৃত । Şey একতা ও যড়যন্ত্ৰ দেখিয়া তদ্বিরুদ্ধে লে আর কোন কথা বলিতে পারিল না ; পরিশেষে হস্ত প্রক্ষালনপূর্বক বলিল, “আমার কোন জায় দোষ নাই, ভোমরা যাহা হয় কর ।” তাহারা বলিল, “জামরা এবং আমাদের সন্ধানেরা এ জন্য দায়ী।" অতঃপর চোয় বারাব্বাসের মুক্তি এবং বাৰু যিশুর প্রশদণ্ডের আজ্ঞ স্থিরীকৃত হইল। রাষ্ম পাইলেট যে ভীরু কাপুরুষ লোকরঞ্জনপ্রিয় তাহা ইহা দ্বারা স্পষ্টই প্রকাশ পাইতেছে। লে হতভাগা জানিয়া শুনিয়া লোকমুরোধে নির্দোৰী সাধুর প্রাণবধে সাহায্য করিল কেবল নাহা নহে, যিশুকে ঘৃণা উপহাস ও কণাঘাতও করিয়াছিল। লোকের প্রশংসা, কর্তৃপক্ষের মনোরঞ্জন এবং ধন মানস্পৃহা যাহার জীবনসৰ্ব্বস্ব সেরূপ বিচারপতির নিকট আর ইহার অধিক কি প্রত্যাশা করা বাইতে পারে ? বিষয়াসক্ত জীবের দশা চিরকালই এইরূপ। সে ধৰ্ম্মাধিকরণে বিচারসিংহাসনে বসিয়াও ন্যায়বিগর্হিত আচরণ করত বিবেকের চক্ষে ধূলি প্রদান করে। পাইলেট, ধৰ্ম্মকে বাচাইবার জন্য হন্ত প্রক্ষালন করিল বটে, কিন্তু নরক হইতে জাত্মাকে দূরে রাখিতে পারিল না। অবশেষে রোমীয় সৈন্যদল আসিয়া যিশুর চতুর্দিক পরিবেষ্টন করিল, তাহার অঙ্গে রক্তবসন, শিরোদেশে কণ্টকের মুকুট পরাইল, স্বন্ধে কুশভার চাপাইল এবং হস্তে রাজদও স্বরূপ এক গাছি যষ্টি প্রদানপূর্বক সম্মুখে জানু পাতিয়া বলিতে লাগিল, “জয় । খ্রিহীরাজের জয় ৷ ” এই রূপ উপহাস এবং অপমানের সহিত কেহ গাত্রে নিষ্ঠীবন দিতে লাগিল, কেহ বা হস্তস্থিত সেই যষ্টি দ্বারা তাহার মস্তকে প্রহার করিতে লাগিল । ধর্মের নামে মানুষ মানুষকে কত দূর পর্যন্ত ক্লেশ দিতে পারে তাহার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত এ স্থলে দেখিতে পাওয়া যায়। নির্দোষীর প্রতি এত রাগ দ্বেষ প্রতিহিংস। কেন হয় তাহা বুঝা কঠিন । নির্ধ্যাতনের উপর অপমান, তাহার উপর বিষাক্ত উপহাস বচন, হায়! কি নিদারুণ যন্ত্রণ। ঈদৃশ ঘোর বিড়ম্বনায় অভিভূত হইয়। নীরবে উৰ্দ্ধমূখে যিশু কঁদিতেছেন, কন্টককিরাটাঘাতে ললাটে রক্তধারা ছুটিতেছে, নয়নজলে বক্ষ ভাসিয়া যাইতেছে। গভীর নির্বাতনে শরীর ভয়, প্রাণ অবসন্ন, তথাপি মুখে একটা কথা নাই, আৰ্ত্তনাদ নাই। শান্তভাবে সকল সহিতেছেন আর উর্দ্রনয়নে
পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/১০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।