পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত। ఏ হুঙ ? স্থলপদ্মগুলির বিষয় ভাবিয়া দেখ। তাহার কেমন বৰ্দ্ধিত হয় । তাহার শ্রম করে না, বয়নও করে না ; তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, রাজা সলিমান তাহার যাবতীয় ঐশ্বর্ঘ্যের মধ্যে থাকিয়াও ইহার একটিরও মত বিভূষিত হন নাই। অতএব পরমেশ্বর যদি ক্ষেত্রের তৃণ যাহা অদ্য আছে কল্য চুল্লিনিক্ষিপ্ত হইবে, তাহাকে এমন করিয়া সজ্জিত করেন, তবে হে অল্পবিশ্বাসী ব্যক্তিগণ । তিনি কি তোমাদিগকে তদপেক্ষণ অধিক সজ্জিত করিবেন না ? অতএব আমরা কি আহার করিব কি পান করিব, অথবা কি পরিধান করিব বলিয়া ভাবিত হইও না । কেন না, তোমাদের ষে এই সকল অভাব আছে তাহা তোমাদের স্বৰ্গীয় পিত। জানেন । ঈশ্বরের রাজ্য এবং তাহার ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বাগ্রে অন্বেষণ কর, ভাঙ্গ হইলে এই সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে প্রদত্ত হইবে । কল্যকার নিমিত্ত ভাবিও না, কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিবে। প্রত্যেক দিনের কষ্ট তৎপক্ষে ষথেষ্ট ।” ঈশ্বরের প্রেমরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ধনের আবশ্যকতা আছে, ভদ্ভিন্ন উহ। কোন কাৰ্য্যে আসে না এই কথার উপলক্ষে ষিশু সহচর বৃন্দকে বৈরাগ্য শিক্ষা দিলেন । সম্মুখে ষে ভয়ঙ্কর সময় আসিতেছে, এ সময় বিন্দুমাত্র আসক্তি থাকিলে মহা বিপদ ঘটবে। এখন প্রেরিত সাধুগণের পক্ষে মহাবৈরাগ্য এবং আত্মত্যাগের প্রয়োজন, সংসার এবং ঈশ্বর সেবা একত্রে চলিবে না ; এই নিমিত্ত শিষ্যদিগকে উহা বলিয়। দিতে হইল। এভ দিন তাহার। স্বদেশে ছিলেন, সময়ে সময়ে গৃহকাৰ্য্য করিভেন, সৰ্ব্বতোভাবে কাহাকেও বৈরাগী হইতে হয় নাই, কিন্তু সে ভাবে আর এখন কার্ষ্য নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে না । যিশুর কাল পূর্ণ হইয়াছে, এক্ষণে পবিত্ৰাত্মা দ্বারা অভিষিক্ত হইয়। সকলকে স্বৰ্গরাজ্য বিস্তার করিতে হইবে, অতএব তিনি সে জন্য শিষ্যদিগকে প্রস্তুত করিতে লাগিলেন । শিষ্যদিগের হৃদয় হইতে এখনো পর্যন্ত ফলকামনার ধৰ্ম্ম উম্মলিত হয় নাই। ( পশ্চাদগামী অগ্রবর্তী । ) ষিশুর এই সকল কথা শুনিয়া পিটার বলিলেন, “দেখ, আমরা সমস্ত পরিত্যাগ করিয়া তোমার শরণাগত হইয়াছি, কিন্তু তাহার পরিবর্তে কি २