পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত। }\రి তদ্বিপরীত যাহ। কিছু ডাকাই ঘটিবে ; এ সমস্ত কথাই তিনি স্পষ্টাক্ষরে ব। প্রকারাস্তরে পুনঃ পুনঃ বলিলেন, তত্ৰাচ কেহ বুঝিতে পারিল না। শিষ্যের যদিও গৃহ পরিবার আত্মীয় ধন জন ছাড়িয়া আসিয়াছে, কিন্তু তৎপরিবর্তে যাহা পাইবে সে সম্বন্ধে এখনও অনেকে অবিশ্বাস সন্দেহ পোষণ করে। যিশু ইতঃপূর্কেই নিজ প্রাণদণ্ডের কথা বলিয়া আসিয়াছেন, এক্ষণে চারিদিকের অশুভ লক্ষণ সকল দেখিয়া তজ্জন্য প্রেস্তুত হইতে লাগিলেন ; ভবিষ্যতে য়িহুদী বংশের কি তুর্দশা ঘটবে তাহাও ইঙ্গিতে প্রকাশ করিলেন । অনন্তর বিবিধ কথা প্রসঙ্গে ক্রমে তাহার জেরুশালমের অভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । বহুসংখ্যক নরনারী যুবা বুদ্ধকে পশ্চাতে লইয়া মহাবীর যিশু চলিতেছেন, গ্রামে নগরে পথে প্রাস্তরে দর্শকবৃন্দ কৌতুহল নেত্রে সে শোভা দর্শন করিতেছে। পথশ্রাত্তি অনাহার রাত্রি জাগরণে শরীর ক্লিষ্ট, অথচ আত্মার প্রভা বিন্দুমাত্র স্নান নহে। পৃথিবীর যাবতীর দুঃখ শোক দারিদ্র্য অপমান মস্তকে বহন করিয়া তাহাকে সত্য ধনে ধনী করিবার জন্য যেন তিনি ব্রত লইয়াছিলেন । আহা ! ভগবানের প্রিয়সস্তান যিশু সকল সুখে জলাঞ্জলি দিয়া দীন দুঃখীদিগের সঙ্গে কাঙ্গালের বেশে পথে পথে ভ্রমণ করিতেছেন, ইহা কি অভূতপূৰ্ব্ব স্বৰ্গীয় দৃশ্য। তাহার এই দিগ্‌বিজয়ী মুর্ভি অবলোকনে এবং অগ্নিময় বাক্য শ্রবণে দুৰ্ব্বল ভীরুস্বভাব অনুচরবর্গের প্রাণ ভয়ে কঁাপিতেছে । কিন্তু “শিরদিয়াতে রোন ক্যা” মন্ত্রে যাহারা সৈনিকপদে ব্ৰতী হইয়াছে তাহারা আর ভয় করিয়াই ৰ কি করিবে ? প্রাণের টানে, স্বৰ্গীয় আকর্ষণে আবদ্ধ, পলাইবার পন্থা নাই । অল্পবিশ্বাসী জীবের চিরকালই কৃপার পাত্র। যত দিন তাহারা ধৰ্ম্মপ্রবর্তক সাধুর মাতৃক্রোড়ে অবস্থিতি করে তত দিন কিছুতেই নিদ্রাভঙ্গ হয় না, পরে পবিত্ৰাত্মার প্রভাবে জাগিয়া উঠে। সঙ্গাদিগকে ভীত দেখিয়াও যিশু আসন্ন ৰিপদের কথা বলিতে সন্ধুচিত হইতেছেন না, বরং বিকারী রোগীকে যেন পুনঃ পুনঃ বিষপ্রয়োগ দ্বারা উজ্জীবিত করিতেছেন। পথে চলিত্তে চলিতে এক নিভৃত স্থানে চিহ্নিত দ্বাদশ জনকে ডাকিয়৷