ԶԵ- ঈশাচরিতামৃত । তেছি । তুমি আপনার কার্ধোর হিসাব দাও, একাৰ্ষ্যে তোমাকে আর রাখা হুইবে না । ভূত্য ভাবিতে লাগিল, এখন আমি কি করি । চাকরীত যায়, মাষ্ট খুঁড়িতেও পারিব না, ভিক্ষণ করাও লজ্জার বিষয় । আচ্ছ, কৰ্ম্মচু্যত হইয়াও যাহাক্তে বাড়ীতে থাকিতে পারি এমন কিছু কৌশল করা যাউক । এই বলিয়া যাহার কাছে যাহা প্রাপ্য ছিল তাহাকে ডাকিয় তাহার হিসাব চাহিল। প্রথম ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করায় সে বলিল আমার নিকট এক শত মণ তৈল পাওন আছে। পরিচারক বলিল, এই বিল্ লও, এবং এক শতের স্থানে পঞ্চাশ লিখিয়া রাখ। দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করিল, তোমার নিকট কত ? সে বলিল, এক শত মণ গোধুম। তাহাকেও ভূত্য পরামর্শ দিল যে ভূমি এক শতের স্থানে আশি লিখিয়া রাখ। প্রভু এই ভূত্যের চতুরতার প্রশংসা করিলেন। কারণ ধৰ্ম্মাঝাদিগের অপেক্ষ এই পৃথিবীর লোকেরা বড় চতুর। আমি বলিতেছি, ভোমরা পৃথিবীর প্রবঞ্চক অর্থের সঙ্গেও সম্ভাব রক্ষণ কর ; কারণ যখন ইহলোক ত্যাগ করিবে তখন সে ভোমাদিগকে নিত্যধামে লইয়। যাইৰে । ষে সামান্য বিষয়ে বিশ্বস্ত হয় সে গুরুতর বিষয়েও বিশ্বস্ত হইতে পারে। আবার ষে সামান্য বিষয়ে জম্যায়াচরণ করে,সে গুরুত্তর বিষয়েও সেইরূপ করিবে,যদি তোমরা অনিত্যধনে বিশ্বাসী ন} থাকিতে পার, তবে কে তোমাদের হাতে পরমার্থ দান করিবে ? অপরের সম্পত্তিতে যদি তুমি বিশ্বাসী থাকিতে না পার, তবে আপনার বিষয় কিরূপে পাইবে ।” ধনলোভী ফিরুশী দল এ কথা শুনিয়া তাহাকে আক্রমণ করিল। যিশু বলিলেন, “তোমরা মন্থয্যের নিকট আপনাদের সাধুতা সপ্রমাণ করিতে চাও, কিন্তু ঈশ্বর ভোমাদের হৃদয় দেখেন। মন্থয্যের নিকট বাহ অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়, ঈশ্বরের চক্ষে তাহ ঘূর্ণিত । “এক জন ধনী ছিল, সে প্রতিদিন বহু মূল্য বসন ভূষণে সজ্জিত হইয়৷ আত্মগৌরব প্রকাশ করিভ। লেজার স্ নামে কোন ক্ষভাঙ্গ রুগ্ন দুঃখী ব্যক্তি তাছার দ্বারে এই আশায় বসিয়া থাকিত ষে ধনীর ভোজনাবশিষ্ট ষৎকিঞ্চিৎ অল্প জাহার করিয়া সে প্রাণ ধারণ করিবে । সে ব্যক্তি রোগে এমনি জড়বৎ হইয়াছিল যে কুকুরে তাহার ক্ষত দেহু লেহন করিষ্ঠ। কিছু দিন পরে
পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।