পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত נ9א f উহার যদি চুপ করিয়া থাকে, পথের প্রস্তর খণ্ড সকল চহকার করিয়া উঠিবে।” নগর কম্পিত করিয়া রাজপথের মধা দিয়া যিশু নিৰ্ভয়ে চলিতে লাগিলেন। য়িহুদী জাতির নিস্তারপর্কের সময় নিকটবৰ্ত্ত, নানা দিগ্‌ দেশ হইতে তীর্থযাত্রিদল আসিতেছে, তন্মধ্যে আপনার দলবল লইয়। তিনি উপস্থিত হইলেন। দর্শকবৃন্দ সচকিত হইয়া পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, কে এ ব্যক্তি এত সমারোহ কবিয়া আসিতেছে ? শিষ্যেরা উচ্চ নিনাদে বলিতে লাগিল,“ইনি নাশৰু নিবাসী ভবিষ্যদ্বক্তা যিশু।” আনন্দের আর সীমা নাই, সকলেই মহা উৎসাহী হইয়া উঠিয়াছে। অল্পমতি ধীবর সম্ভাগণ গুরুদেবের রাজবেশদর্শনে হয়তো মনে করিল, এত দিনে আমদের মনোবঞ্ছা সফল হইল। রাজৈশ্বর্ঘ্যের মধ্যে এক নবীন গর্দভ, আর শিষ দিগের ছিন্ন মলিন গাত্রাবরণ, আর অবশিষ্ট কি ? বৃক্ষশাখা সকল রাজদণ্ড ছত্র এবং পতাকা হইয়াছে। এত দিন যিশু যে সমস্ত স্বৰ্গীয় অমূল্য রত্ন বিতরণ করিলেন তাহতে লোকের যত উৎসাহ হউক না হউক, তাহার রাজবেশ ধারণ সকলের পক্ষে বিশেষ আহলাদের বিষয় হইল। প্রেমের পগল যিশুর মনে তখন যে কি অপূৰ্ব্ব ভাবের উদয় হইয়াছিল তাঙ্গ কে বুঝিবে ? দুঃখই র্যাহার আনন্স, অপমান নির্ধ্যাতন মৃত্যু ঘঁহার রাজমুকুট, র্তাহার রাজবেশ ইহা অপেক্ষ আর অধিক গৌরবান্বিত কি হইতে পারে ? এ সকল পাগলবংশীয় লোকের প্রেমের লীলা চিরকালই এইরূপ। অতঃপর যুবরাজ যিশু বছলোক জন সঙ্গে করিয়া একবারে জিহোবার মন্দিরের দ্বারদেশে উপনীত হইলেন। মন্দিরের সন্মুখস্থ পথের উভয় পার্থে ক্রেতা বিক্রতাগণের বিষম জনতা । নানাবিধ চেতনাচেঙন পুজা উপহার ও বলির সামগ্ৰী লোকে ক্রয় বিক্রয় করিতেছে, চারিদিকে কোলাহল গণ্ডগোল, দেখিলেই বোধ হয় যেন কালীঘাটের মন্দির । বস্তুতঃ তথায় সংসার একবারে মূৰ্ত্তিমান আকার ধরিয়া বসিয়া আছে। এই ঘৃণিত দৃশ্য দর্শনে ব্ৰহ্মভক্ত যিশুর মন বড় ক্ষুব্ধ এবং উত্তেজিত হইল। পরে মন্দির মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন যে সেখানেও ক্রেতা বিক্রেতাদিগের ভয়ানক হট্টগোল । কেহ কপোতদিগকে পিঞ্জরবদ্ধ করিয়া বিক্রয়ার্থ প্রস্তুত রাখিয়াছে, কেহ পূজা ও বলি উপহারের অন্যান্য উপকরণ সামগ্ৰী বিক্রয় করিতেছে,