পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wob” ঈশাচরিতামৃত। অম্লচরগণকে শূন্যহন্তে আসিতে দেখিয় প্রধান যাজকের কহিল, কেন তোমরা তাহাকে জানিলে না ? তাহারা বলিল ধৰ্ম্মাবতার, তিনি ষেরূপ কথা কহুেম আমরা এমন কথা আর কখন কাহারে মুখে শুনি নাই। ফিরুণীরা বলিল, তোমরাও কি প্রতারিত হুইলে ? আমরা কি কেই তাছাকে বিশ্বাস করিয়াছি দেখিয়াছ ? শাস্ত্রীয় বিধি যাহারা জানে না তাহারা অতি হয় লোক । নিকোডিমাস নামে যিশুর এক গুপ্ত বন্ধু তথায় ছিলেন; তিনি বলিলেন, “কোন ব্যক্তির বিষয় কিছু না জানিয়া শুনিয়া কি ৰিচার করা উচিত ? “ বিরোধীরা বলিল, “তুমিও কি গালিল দেশীয় লোক অঙ্গুসন্ধান করিয়া দেখ, কারণ তথায় কখন কোন প্রেরিত মহাজনের জন্ম হয় না " . ভদনঞ্জর সকলে নিজ নিজ স্থানে চলিয়া গেল । পর দিবস যিশু পুনরায় মন্দিরের নিকট ভূভলে বলিয়। শ্রোতৃবর্গকে শিক্ষণ দিতেছেন এমন সময় শক্ররা এক ব্যভিচারিণী নারীকে তৎসন্নিধানে আনিয়া উপস্থিত করিল। ইহার কিছুদিন পূৰ্ব্বে হতভাগ্যের স্ত্রী ত্যাগ বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া বিফল মনোরথ হইয়াছে, এক্ষণে জাবার এই উপলক্ষে দুরভিসন্ধি সাধনে চেষ্টা করিতে লাগিল। যিশুর প্রতি যেন কতই ভক্তি শ্রদ্ধা ! অথচ ভিতরে কেবল কুটিল মন্ত্রণ। বলিল, “মহাশয়, এই স্ত্রীলোক ব্যভিচার করায় আমরা ইহাকে ধরিয়া আনিয়াছি । মুসার বিধি অনুসারে ইহাক্ষে প্রস্তুরাঘাত করা উচিত, কিন্তু আপনার এ বিষয়ে ব্যবস্থা কি ? ” ৰিঙ উহাদের ভাবগতি দেখিয়া এমনি ভাবে ইেট মস্তকে অজুলী দ্বারা মাটিতে অঙ্কপাত করিতে লাগিলেন যেন কিছুই শুনিতেছেন না। শক্রদল ক্রমাগত উত্তেজনা করাতে শেষ মস্তক উত্তোলন করিলেন। প্রশ্নটি নিতান্ত সহজ ছিল না। তুষ্টেরা এমনি মায়াজাল পাতিয়াছে যে মানবীয় বুদ্ধিশক্তি দ্বারা কোনক্রমে তাহা হইতে উদ্ধারের জাশ নাই। যিশু যে প্রকার উত্তর দিবেন তাহা দ্বারাই তাহাকে উহার বিপাকে কেলিবে । প্রাচীন বিধি অনুসারে তিনি কঠোর দণ্ডও অনুমোদন করিতে পারেন না, এ দিকে আবার পবিত্রতার উচ্চ জাদশও রক্ষণ করা চাই । কিন্তু জৈব বাহার সহায় ডাহার আর ভাবনার বিষয় কি ? তিনি জানিতেন মায্যের স্বভাব পু৭ে তে গঠিত, পাপ তাহার সাময়িক রোগ