পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত । ن দুৰ্ব্বলতা মাত্র ; কোন একটা পাপজনক ঘটনা দ্বারা তাহার সমস্ত জীবন বিচারিত, হইতে পারে না। এই কারণে অনেক মহাপাপী তাহার প্রসন্নক্তা লাভ করিয়া মুক্ত হইয়। যাইত। র্তাহার চরিত্র প্রভাবে কত স্থশারিণী গণিকাও ভাল হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু সে কিসের বলে ? তিনি কি তাহাদিগকে পুনঃ পরিণয়স্থৰে সুখী করিয়া উদ্ধার করিতেন ? আপনার পুণ্য প্রভাব দ্বারা তাহাদিগকে ঈশ্বরের চিরক্রীত দলী করিয়া রাখিতেন। পাপের প্রতি যথোচিত ঘৃণা এবং পুণ্যাকুরাগ তাহার স্বাভাবিক এবং তদ্বিষয়ক মত সম্পূর্ণ ঐশিক শাসনের অনুগামী ছিল। জনম্ভর স্বৰ্গীয় জ্ঞানযোগে তিনি প্রশ্নকারী:দিগকে এইমাত্র বলিলেন যে, “তোমাদের মধ্যে ষে নিষ্পাপী সেই অগ্রে উহাকে প্রস্তরাঘাত করুক। ” এই কথা বলিয়৷ পূৰ্ব্ববৎ ভূমিতে অঙ্কপাত করিতে লাগিলেন। তাহার সেই মহাবাক্য শ্রবণে বিরোধীদল আপনাপন বিবেকের নিকট অপরাধী বলিয়া সাব্যস্ত হইল, এবং অধোমুখে এক এক করিয়া সকলে সরিয়া পড়িল, একটি লোকও আর সেখানে ছিল না । যিশু এমনি ব্ৰহ্মাক্স ত্যাগ করিয়াছেন যে তাহা শত্রুদিগের বক্ষঃস্থল ভেদ করিয়াছে। উহার যেরূপ উত্তর প্রত্যাশা করিয়াছিল ষিণ্ড সে দিক দিয়াও গেলেন না, বিধিনিয়োজিত নুতন প্রণালীতে উত্তর দিলেন। য়িহদীরা যদি ধৰ্ম্মভয়হীন নাস্তিক হইত তাহা হইলে নিজেদের ব্যভিচার দোষ সত্বেও ঐ নারীকে প্রস্তরাঘাত করিত সন্দেহ নাই, কিন্তু তত দূর বিকৃতি তাহদের ঘটে নাই। বরং যিশুর স্বৰ্গীয় বচন তাহাদের নিদ্রিত বিবেককে তখন জাগ্রৎ করিয়া তুলিয়াছিল। ক্ষণকাল পরে যিশু মস্তক উন্নত করিয়া দেখেন যে কেহ কোথাও নাই, সকলে চলিয়া গিয়াছে, কেবল স্ত্রীলোকটি একাকিনী লজ্জাবনত শিরে দাড়াইয়। আছে। এ স্থলে দৈব বলের কি অব্যর্থ সন্ধানই তিনি দেখিতে পাইলেন । পাপীর কুটিল দুৰ্ব্বদ্ধির সহিত সাধুর নির্মল সরল বুদ্ধির কি প্রভূত তারতম্য! তখন যিশু বলিলেন, “হে নারী, কোথায় গেল তোমার সেই সব অভিষোক্তাগণ এক জনও তোমাকে দণ্ডদান করিল না ? বামা বলিল, “না প্রভু, কেহই কিছু বলিল না । ” যিশু বলিলেন, “আমিও স্বও দিলাম না। এক্ষণে ষাও, এমন কৰ্ম্ম আর কখন করিও না । ”