পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশাচরিতামৃত। 8-9 যিশুর কথায় লোকে বড় জালাতন হইত ; এখনো হয়, চিরকাল হইবে। সে যাহা হউক, এক্ষণে “এক্সাহেমের পূৰ্ব্বে আমি ছিলাম” কি “কৃষ্টির প্রথমে আমি ছিলাম” এ সব কথার অর্থ কি ? যিশু অনন্ত কালের জীব ছিলেন। মনুষ্যের শরীর ধারণ, জন্ম মৃত্যু নাম ধাম জাতি সংজ্ঞ উপাধি কিংবা স্বাতন্ত্র্য ব্যক্তিত্ব এ সকল অনিত্য অস্থায়ী ভাবের সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে তিনি থাকিতেন না। সত্য ন্যায় দয়া ধৰ্ম্ম পুণ্য প্রেম যেমন অনস্ত কালের অমর পদার্থ স্বতরাং এই সমুদায় উপাদানে রচিত যে সাধুজীবন তাহাও দেশ কালের অতীত অমর পদার্থ, আকস্মিক অস্থায়ী নহে, এই ভাবে তিনি ঐ রূপ কথা বলিতেন। অগ্ৰে ভাবরূপে বীজরীপে অপ্রকট অবস্থায় অনন্ত গুণধারিণী জগৎপ্ৰসবিনীর গর্ভে তিনি ছিলেন, পরে যথাসময়ে দেহ ধারণ করিলেন, কিন্তু দেহধারণের পূৰ্ব্বে স্বাক্টবীজে নিদ্রিতাবস্থায় ছিলেন। অনাত্মবাদী য়িহদীর মস্তিক্ষে এ ভাব প্রবেশ হুইবার নহে, জড়বাদী জ্ঞানীর মোট বুদ্ধিও ইহা ধারণ করিতে পারে না। এ দেশে নিতাসিদ্ধ মহাজনদিগের যে লক্ষণ বর্ণিত আছে যিশুর কথা তাহার সহিত ঐক্য হয়। যাহাই হউক, সাধারণ এ প্রকার গভীর অর্থযুক্ত বাক্যে অতিশয় রিক্ত। যে যত বুঝিতে পারে না সে ততই আরো রাগিয়া উঠে। ঘিণ্ড এমনি সহজে অম্লান বদনে এ সমস্ত বিশ্বাস্বাক্য বর্ণন করিতেন যে তাহাতে অন্ধবুদ্ধি মানবের ধৈর্য্যচু্যত হইত। অবিশ্বাসী লোকেরা ভাবুকতা ও কবিত্বের উপর বড়ই অসন্তুষ্ট, বিশ্বাসের খাটি কথাও ধরিতে অক্ষম।