৭৬ ঈশাচরিতামৃত । শিষ্যের কছিল, “বিধি পুস্তকে বর্ণিত” আছে, "খ্ৰীষ্ট যিনি ডিনি চিরকালই এখানে বাস করেন, তবে উৰ্দ্ধেনীত হওয়া এ কথা আপনি কেন বলিতেছেন । মনুষ্যপুত্র তবে কে ?” যিশু বলিলেন, “অলক্ষণ মাত্র আর আলোক অাছে, এই সময় পদ চালনা কর, নতুবা কি জানি কোন সময় অন্ধকার আসিয়া উপস্থিত হইবে। যে অন্ধকারে চলে সে জানে না কোন দিকে যাইতেছে। যাহাতে তোমরা জ্যোতির সম্ভান হইতে পার তজ্জন্য যতক্ষণ আলোক আছে ততক্ষ৭ তাহাকে বিশ্বাস কর।” বিরোধীদলের কোন কোন প্রধান ব্যক্তি র্তাহাকে বিশ্বাস করিয়াছিল, কিন্তু সমাজচ্যুতির ভয়ে তাহ প্রকাশ করিতে পারে নাই। কারণ তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা অপেক্ষ মন্থয্যের প্রশংসা ভুল বাসিত । যিশু পুনরায় উচ্চ রবে বলিলেন, “ষে আমাকে বিশ্বাস করে সে বাস্তবিক আমাকে বিশ্বাস করে না, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন তাহাকেই বিশ্বাস করে। এবং যে আমাকে দেখিয়াছে সে অামার পিতাকেও দেখিয়াছে। আমার বাক্য শুনিয়া তাহাতে যে বিশ্বাসী হয় না, আমি তাহার বিচার করিব না। কারণ আমি পৃথিবীর বিচারকর্ড নহি, তাহাকে রক্ষা করিবার জন্যই আমি আসিয়াছি। যে আমাকে এবং আমার কথাকে অগ্রাহ করে, আমার কথিত বাক্যই তাহাদের বিচার করিবে। যেহেতু আমি নিজের কথা কিছু বলি নাই, পিতা যাহা আদেশ করিয়াছেন তাহাই বলিয়াছি। আমি জানি, ঈশ্বরের বাণী অনন্তজীবন দান করে।” যিশু এ সময় ঈশ্বরের সহিত এমনি সম্মিলিত হইয়া গিয়াছিলেন যে উভয়ের মধ্যে আর কিছু মাত্র ভেদজ্ঞান ছিল না। পিতার জ্ঞানে জ্ঞানী, পিতার বলে বলী, পিতার ঐশ্বর্ঘ্যে ঐশ্বৰ্য্যবান, এই ভাবে সমস্ত কথা বলিতে লাগিলেন । অল্পবিশ্বাসী সন্দিগ্ধমনা ধাৰ্ম্মিক যে স্থলে কোন সত্যকে বিশুদ্ধ যুক্তির অমুমোদিত, ন্যায় এবং যুক্তি সঙ্গত বলিয়া আপনার স্বাগত গুঢ় অবিশ্বাসের পরিচয় প্রদানপূর্বক বিনয়ী নামে অভিহিত হয় যিশু সেখানে প্রত্যেক সত্যকে ঈশ্বরবাক্য ভিন্ন আর কিছুই বলিভেন না ; নিজের বুদ্ধি যুক্তি জ্ঞান শক্তির প্রাধান্য তাহাতে কিছুই দেখিতেন না । যাহা কিছু সত্য তাহ ঈশ্বরবাণীরূপে র্তাহার অস্তরে প্রতীয়মান হইত। ফলতঃ র্তাহার কার্ষ্য এবং বাক্য
পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।