R. ঈশাচরিতামৃত। এই কথার পর যিশু উক্ত দেশের অন্তর্গত সাইচার নামক নগরে উপনীত হইলেন। মধ্যাহ্ন কাল উপস্থিত, ক্ষুধা তৃষ্ণ ও পথশ্রাত্তিতে শরীর ক্লিষ্ট হইয়াছে, নিকটে এক কূপ দর্শন করিয়া তথায় বসিলেন। শিষ্যের ভক্ষ্য বস্তু আহরণার্থ নগরমধ্যে চলিয়া গেল। এই কুপতটে নারীগণ সচরাচর জল লইতে আসিত। একটি স্ত্রীলোক জল তুলিতে আসিয়াছে দেখিয়। যিণ্ড ভাষ্কার নিকট পানাৰ্থ জল প্রার্থনা করিলেন । বামা বলিল, “সে কি কথা ! তুমি য়িহুদী হইয়া সামেরিটান নারীর হস্তে জল পান করিবে ?” যিশু বলিলেন, “যিনি তোমার নিকট জল চাহিতেছেন, ঈশ্বরপ্রসাদে যদি তুমি তাহাকে চিনিতে পারিতে, তাহ হইলে তুমি তাহার নিকট প্রার্থন করিতে এবং তিনি তোমাকে জীবনপ্রদ সলিল প্রদান করিতেন।” স্ত্রীলোকটি বলিল, “মহাশয়! আপনার নিকট জল তুলিবারত কিছুই দেখিতেছি ন, এবং এ কুপও অতিশয় গভীর, তবে আপনি জল কেমন করিয়া দান করিবেন ? তবে কি আপনি এই কূপগ্ৰতিষ্ঠাতা জ্যাকোবের অপেক্ষ। শ্ৰেষ্ঠ লোক ?” যিশু বলিলেন, “এ জল যে পান করে, সে আবার তৃষ্ণাৰ্ত্ত হয়, কিন্তু আমার প্রদত্ত জল পান করিলে আর পিপাস) থাকিবে না । যে তাহ পান করিবে তাহার ভিতরে এক অনন্তজীবনের প্রস্রবণ উন্মুক্ত হইয়। যাইবে।” এমনি তাহার ভাবের উদগম যে কে কোন কথা ধারণ করিতে পারিবে, না পরিবে তাহ ভাবিবার অবসর ছিল না ; সৰ্ব্বদ। তাহার চক্ষে যেন অমস্ত বিস্তৃত অধ্যাত্মরাজ্য বাহ বস্তুর ন্যায় ভাসমান থাকিস্ত। দুঃখিনী সামান্য নারী চিরকাল কূপের জলই পান করে, সে যিশুর কথার গভীর অর্থ কিরূপে বুঝিবে ? সাধু মহাপুরুষেরা যেন আপনার ভাবে আপনি পাগল । নারী বলিল, “মহাশয়, তবে আমাকে সেই জল কিঞ্চিৎ দান করুন, যাহাতে আর আমার পিপাসা না হয় এবং এখানে আর অসিতেও ন হয়।” একাকী নির্জনে স্ত্রীলোকের সঙ্গে আলাপ করা বিধেয় মহে এই ভাবিয়া বোধ হয় শেষ তিনি বলিলেন, “তোমার স্বামীকে ডাকিয়! আন।” তাহার বৈধ স্বামী কেহ ছিল না,যিশু তাহ পরে বুঝিতে পারিলেন । তাহার ভাৰভঙ্গী দেখিয়া স্ত্রীলোকও পরিশেষে বুঝিল যে ইনি সামান্য নর নহেন, এক জন প্রেরিত পুরুষ। তখন সে পুনৰ্ব্বার বলিল, “আমা
পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।