ঈশাচরিতামৃত।" ومنا য়াছে, তবে কেমন করিয়া এ কথা বলিভেছ যে পিতাকে দেখাইয়া দাও । আমি পিতাতে পিতা জামাতে ইহা কি বিশ্বাস কর না ? যে সকল কথা আমি বলি তাহ নিজ হইতে নহে, যিনি আমার ভিতরে অধিবাস করেন সেই পিতাই সমস্ত কাৰ্য্য করিতেছেন । আমি পিতাতে এবং পিতা আমাতে ইহা বিশ্বাস কর । না হয় আমার কার্ঘ্য দেখিয় তাহা বিশ্বাস কর । সত্য বলিতেছি, ষে আমাকে বিশ্বাস করিবে সে আমার মত কাৰ্য্যও করিতে পরিবে। কারণ আমি পিতৃসন্নিধানে চলিয়া যাইতেছি। আমার নামে ভোমরা যাহা কিছু চাহিবে তাহ পাইবে, কেন না তদ্বারা পুত্ৰেতে পিত জয়যুক্ত হইবেন ।” - কেমন সহজে অলঙ্কারহীন ভাষায় যিশু ব্ৰহ্মদর্শনের তত্ত্বটি বুঝাইয়। দিলেন ! অবিশ্বাসী ধৰ্ম্মাভিমানীর কর্ণে ইহা কৰ্কষ প্রতীতি হয়, কিন্তু বিশ্বাসী ভক্তের ইহা ভিন্ন অন্য ভাষা নাই। ব্ৰহ্মদর্শন সম্বন্ধে যাহার কোন অস্বাভাবিক ভৌতিক ঘটনা মনে করিয়া রাখিয়াছে, বজের ধ্বনি, কি বিদ্যুতের চমক্, কি চৈতন্যহীন মুচ্ছিতাবস্থাকে যাহার দর্শনের লক্ষণ বলে তাহাদের নিকট যিশুর বাক্যের কোন অর্থ নাই। কিন্তু তিনি বাহ! বলিলেন, তাহ আৰ্য্য অনাৰ্য্য সকল জাতীর ভক্তগণ বুঝিতে পারেন। ব্ৰক্ষদর্শনের তিনটি গবাক্ষ,—আপনার আত্মা, বহির্জগৎ, আর ধৰ্ম্মসমাজ বা জাতীয় ইতিহাস। জনসাধারণের পক্ষে পবিত্ৰাত্মা সাধুজীবন স্বচ্ছ দর্পণের ন্যায়। তাহার। ইহার ভিতর দিয়া যেমন ঠাকুরকে স্পষ্টরূপে দেখে এমন কিছুতেই নহে। অসাধারণ প্রকৃতির কৃপাসিন্ধ মহাত্মারা নিজের ভিতর ব্ৰহ্মদর্শন করত ক্রমে তন্ময়ত্ব প্রাপ্ত হন। এই জন্য এখানে সাধুর সাধুত এবং ঈশ্বর দর্শন এক বলিয়া উক্ত হইয়াছে। সম্পূর্ণরূপে র্তাহাকে কেহই দেখিতে পায় না, আংশিক দর্শনে সকলেই অধিকারী ; কিন্তু সেই আংশিক দর্শন ভক্তজীবনে যেমন উজ্জ্বলক্কপে উপলব্ধি হয় এমন কোন পদার্থে নহে । সাধারণ কিংবা মধ্যবিধ অবস্থার ভক্ত র্তাহাকে সাক্ষাৎসম্বন্ধে অবস্থাবিশেষে নিজের ভিতরেও দেখিতে পায়। দর্শন অর্থে এখানে বাহরূপ নহে, আধ্যাত্মিক সদগুণ এবং তাহার ক্রিয়া উপলব্ধি । পরে তিনি শিষ্যদিগকে বলিতে লাগিলেন, “আমার প্রতি যদি তোমা
পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।